সুনামগঞ্জ সীমান্তে মারধরে বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু

সুনামগঞ্জ জেলার মানচিত্র

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী বড়ছড়া এলাকায় মারধরে জনিক মিয়া (২৫) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। গতকাল রোববার রাতে জনিক মিয়া ভারতে অনুপ্রবেশ করলে সেখানকার লোকজন তাঁকে মারধর করেন বলে জানা যায়। আজ সোমবার সকালে মুমূর্ষু অবস্থায় তাঁকে বাড়ির পাশে পাওয়া যায়। হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জনিক মিয়া উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বড়ছড়া শুল্ক স্টেশনের পার্শ্ববর্তী বড়ছড়া গ্রামের জিলু মিয়ার ছেলে। তিনি সেখানেই শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। তাঁদের বাড়ি একেবারে সীমান্তঘেঁষা।

পরিবারের বরাত দিয়ে গ্রামের বাসিন্দা নুর মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, জনিক মিয়া রোববার রাতের কোনো এক সময় ভারতে অনুপ্রবেশ করেন। আজ সকালে তাঁর বাড়ির এক শ ফুট দূরে তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় পাওয়া যায়। তাঁর সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, ওপারে চোর সন্দেহে তাঁকে মারধর করা হতে পারে।

তাহিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল লতিফ তরফদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি শুনেছি। তবে কে বা কারা তাঁকে মারধর করেছে, সেটি জানতে পারিনি। লাশ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

সুনামগঞ্জে বিজিবির ২৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহবুবুর রহমান বলেন, তাঁরাও এ রকম একটি ঘটনা শুনেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের কেউ বিষয়টি জানায়নি।