সুন্দরগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যান অবরুদ্ধ

ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে। অবরুদ্ধ থাকার প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে। গতকাল বুধবার রাতে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গতকাল দিনব্যাপী শান্তিরাম ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চত্বরে দুস্থ, অতিদরিদ্র ব্যক্তি ও পরিবারের মধ্যে ভিজিএফ কর্মসূচির চাল বিতরণ করা হচ্ছিল। ওই ইউনিয়নের ৫ হাজার ২০৭ জন ভিজিএফ কর্মসূচির চাল পাওয়ার কথা। ওই দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ৯৫ শতাংশ চাল বিতরণ করা হয়। বিতরণের শেষের দিকে একটি ভুয়া ভিজিএফ কার্ড দিয়ে চাল তোলাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়।

সূত্র আরও জানায়, গতকাল ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল দেওয়ার কথা। কিন্তু প্রত্যেককে এক থেকে দেড় কেজি করে চাল কম দেওয়া হচ্ছিল। এ নিয়ে রাত আটটার দিকে এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে উঠেন। একপর্যায়ে তাঁরা চেয়ারম্যানকে তাঁর কার্যালয় চত্বরে রাত আটটা থেকে প্রায় এক ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।

তবে শান্তিরাম ইউপি চেয়ারম্যান এ বি এম মিজানুর রহমান তাঁকে অবরুদ্ধ করে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কাউকে চাল কম দেওয়া হয়নি। প্রতিপক্ষের লোকজন তাঁর স্বাক্ষর জাল করে ভুয়া ভিজিএফ কার্ড বিতরণ করেন। তা বুঝতে পেরে তিনি কঠোরভাবে প্রতিরোধ করে ওই ভুয়া কার্ডধারীকে আটক করে রাখেন। এ নিয়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।

সুন্দরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সরকার ইফতেখার মোকাদ্দেম বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানকে অবরুদ্ধ করে রাখার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে চেয়ারম্যান একটি ভুয়া ভিজিএফ কার্ড আটক করে রাখেন। এ নিয়ে উত্তেজিত জনতা ইউপি চেয়ারম্যানকে পরিষদ চত্বরের মাঠে ঘিরে রাখেন। পরে পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সুন্দরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল-মারুফ বলেন, চাল কম দেওয়ার বিষয়ে তিনি কোনো অভিযোগ পাননি। তবে ভুয়া ভিজিএফ কার্ডধারীকে আটক করাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা দেখা দেয়। গতকাল বিতরণের পর অবশিষ্ট ভিজিএফের চাল আজ বৃহস্পতিবার বিতরণ করা হয়।