সুন্দরবনে কর্মীদের নিরাপদ অবস্থানে থাকার নির্দেশ

সুন্দরবন
ফাইল ছবি

ঘূর্ণিঝড় ইয়াস থেকে বাংলাদেশের উপকূল অনেকটা ঝুঁকিমুক্ত, বলছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তবে সতর্কতা হিসেবে এরই মধ্যে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের ঝুঁকিপূর্ণ আটটি টহল ফাঁড়ির কর্মীদের প্রয়োজনে পার্শ্ববর্তী ফাঁড়িতে যেতে বলা হয়েছে। নিরাপদে অবস্থান নিতে বলা হয়েছে জেলে ও মৌয়ালদের।

বঙ্গোপসাগর তীরে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে আঘাত হানা ইতিপূর্বে প্রতিটি ঘূর্ণিঝড়ের ধকল সহ্য করেছে সুন্দরবন। বড় ধাক্কা সামলে কমিয়ে দিয়েছে বাতাসের গতিবেগ। ফলে হ্রাস পেয়েছে জনপদের ক্ষয়ক্ষতি।

পূর্ব সুন্দরবনে বন বিভাগের আটটি টহল ফাঁড়িতে পাকা ঘর না থাকায় ঝড়ের সময় এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।

সুন্দরবনের মধ্যে বন বিভাগের পাঁচ শতাধিক কর্মী দায়িত্ব পালন করেন। এই কর্মীরা বনের মধ্যে অবস্থান করেন স্টেশন অফিস ও টহল ফাঁড়িগুলোতে। পূর্ব সুন্দরবনে আটটি টহল ফাঁড়িতে পাকা ঘর না থাকায় ঝড়ের সময় এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। ঝুঁকিপূর্ণ ফাঁড়িগুলো হচ্ছে সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের দুবলা, কপিলমুনি, শ্যালা, কচিখালী, চরখালী এবং চাঁদপাই রেঞ্জের তাম্বুলবুনিয়া, জোংড়া ও ঝাপসি।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন ঘূর্ণিঝড়ের যে গতিপ্রকৃতি দেখা যাচ্ছে, তাতে আশা করা যায়, আমরা নিরাপদ থাকব। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সতর্কসংকেত বাড়লে আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ আটটি ফাঁড়ির কর্মীরা অস্ত্র ও প্রয়োজনীয় মালামাল নিয়ে ঝুঁকিমুক্ত ফাঁড়িতে যাবেন। এ জন্য নিরাপদে থাকতে তাঁদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজন মনে হলে তাঁরা পার্শ্ববর্তী নিরাপদ ফাঁড়িগুলোতে অবস্থান নেবেন।’

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়া ইয়াস আগামী বুধবার উপকূলে আঘাত হানতে পারে।