সেনবাগে ইউপি নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আ.লীগের ৩ নেতাকে বহিষ্কার

আওয়ামী লীগের লোগো

নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় তিনটি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় আওয়ামী লীগের তিন প্রার্থীকে দল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তিনটি ইউপির আরও পাঁচ বিদ্রোহী প্রার্থীকে দলের সমর্থনে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছে। গতকাল রোববার বিকেলে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীদের উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে চিঠি দেওয়া হয়।

আগামী ১৫ জুন সেনবাগ উপজেলার অর্জুনতলা, কেশারপাড় ও মোহাম্মদপুর ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। বহিষ্কৃত তিন নেতা হলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও অর্জুনতলা ইউনিয়নে বিদ্রোহী প্রার্থী মো. ইয়াছিন, কেশারপাড় ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু বকর ভূঁইয়া ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল হক।

আজ সোমবার উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৩ নম্বর ডমুরুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত হোসেন বলেন, গত শুক্রবার উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির বর্ধিত সভায় ইউপি নির্বাচনে দলের বিদ্রোহী প্রার্থীদের বিষয়ে আলোচনা হয়। আলোচনা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে দলীয় পদধারী তিন প্রার্থীকে দলের পদ থেকে অব্যাহতিসহ সাময়িক বহিষ্কার এবং বাকি পাঁচজনকে (যাঁরা দলের সমর্থক) নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য চিঠি দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে অনুযায়ী গতকাল রোববার বিকেলে বহিষ্কৃত তিন নেতাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।

শওকত হোসেন বলেন, পদধারী তিন নেতাকে বহিষ্কার ছাড়াও ইউপি নির্বাচনে দলের সমর্থক অপর পাঁচজন স্বতন্ত্র প্রার্থীকেও নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। অন্যথায় তাঁদের দলের সদস্য পদ থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ওই পাঁচ সমর্থক হলেন কেশারপাড়ে শাহজাহান সিরাজ ও মামুন হোসেন; অর্জুনতলায় সাখাওয়াত হোসেন, আরিফ হোসেন এবং মোহাম্মদপুরের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্যাহ।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার উপজেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত ওই বর্ধিত সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম। এ সময় সেখানে যুগ্ম আহ্বায়ক লায়ন জাহাঙ্গীর আলম মানিক, এ কে এম ফারুক ভূঞা, আলী আক্কাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৫ জুন সেনবাগ উপজেলার তিন ইউপিতে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা আছে। এতে কেশারপাড় ইউপিতে বেলাল ভূঞা, অর্জুনতলায় আবদুল ওহাব ও মোহাম্মদপুরে ফিরোজ আলম ভূঁইয়া ওরফে রিগানকে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনটি ইউপিতে আট বিদ্রোহী প্রার্থীসহ বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা মাঠে আছেন।