সেনবাগে সড়ক থেকে তুলে নিয়ে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণ
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণির এক মাদ্রাসাছাত্রীকে (১২) সড়ক থেকে তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সেনবাগ থানায় দুজনকে আসামি করে মামলা করেছেন। আজ শুক্রবার প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছেন সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী।
আজ সকালে নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠাবে পুলিশ। এর আগে বৃহস্পতিবার বেলা দুইটার দিকে উপজেলার বীজবাগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বীরনারায়ণপুর গ্রামের জহিরের দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
মামলার আসামিরা হলেন বীজবাগ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বীরনারায়ণপুর গ্রামের মজু কারিগর বাড়ির মৃত আবদুল কাদেরের ছেলে জহির উদ্দিন (৪৫) ও তাঁর সহযোগী একই এলাকার মৃত আলী সারেংয়ের ছেলে হাবীব উল্যাহ (৪৩)।
মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্র জানায়, ওই ছাত্রী স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। মাদ্রাসায় আসা-যাওয়ার পথে বিভিন্ন সময় ডেকোরেটর ব্যবসায়ী জহির ওই ছাত্রীকে নানা প্রলোভন দেখাতেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই ছাত্রী মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে ডেকোরেটর দোকানের সামনে পৌঁছালে, জহির মুখ চেপে ধরে রাস্তা থেকে তুলে দোকানের ভেতর ঢুকিয়ে শাটার বন্ধ করে দেন। এরপর তাঁর সহযোগী হাবীবের সহযোগিতায় ওই ছাত্রীকে তিনি ধর্ষণ করেন। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দারা বিষয়টি টের পেয়ে সেখানে গেলে, জহির ও তাঁর সহযোগী হাবীব কৌশলে দোকান থেকে পালিয়ে যান। পরে ছাত্রীর মা স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানান। এরপর রাতে এ ঘটনায় ছাত্রীর মা থানায় মামলা করেন।
এ বিষয়ে সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী প্রথম আলোকে বলেন, ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে হওয়া মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করা হচ্ছে।