স্ত্রী হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে যুবকের জবানবন্দি

‘রাগের মাথায় ঘুষি দিয়ে স্ত্রীকে মেরেছি’ থানায় গিয়ে এমন কথা বলে পুলিশের কাছে ধরা দেওয়া যুবক মোহাম্মদ সাহিদ আহমদ (২৭) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শনিবার সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিটি সার্ভিস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) বি এম আশরাফ উল্যাহ প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার সাহিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হওয়ার পর বিকেলে সিলেটের মেট্রোপলিটন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে (দ্বিতীয়) ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান তাঁর জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি দেওয়ার পর রাতে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল পাঁচটার দিকে সিলেট নগরের মোগলাবাজার থানায় গিয়ে সাহিদ আহমদ আত্মসমর্পণ করেন। তখন তিনি পুলিশকে বলেন, ‘রাগের মাথায় ঘুষি দিয়ে স্ত্রীকে মেরেছি।’ নিহত ওই গৃহবধূর নাম লাকি বেগম (২৫)। খবর পেয়ে রাতে মোগলাবাজার থানার একদল পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়। শুক্রবার সকালে সাহিদকে একমাত্র আসামি করে মোগলাবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন নিহত লাকির মা হাজেরা খানম।

অভিযুক্ত মোহাম্মদ সাহিদ আহমদের বাড়ি সিলেটর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুর দক্ষিণপাড়ায়। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আলীনগর গ্রামের বাসিন্দা লাকির সঙ্গে প্রায় দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল।

পুলিশ সূত্র জানায়, জবানবন্দিতে পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীকে মারধর করার কথা স্বীকার করেন সাহিদ। তিনি বলেন, বুধবার রাতে একদফা ঝগড়ার জের ধরে পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ৯টার সময় কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় স্ত্রীকে তিনি কিল-ঘুষি মারেন। একপর্যায়ে লাকি মারা যান। জবানবন্দিতে সাহিদ আরও বলেন, লাকির মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর লাশ পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখেন। দুই ঘণ্টা পর বসতঘরের ড্রামে ঢুকিয়ে রাখেন। এ কাজটি করে অনুশোচনা থেকে থানায় আত্মসমর্পণ করেন তিনি।

অভিযুক্ত মোহাম্মদ সাহিদ আহমদের বাড়ি সিলেটর দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজার থানার শ্রীরামপুর দক্ষিণপাড়ায়। হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আলীনগর গ্রামের বাসিন্দা লাকির সঙ্গে প্রায় দেড় বছর আগে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়েছিল। তাঁদের পাঁচ মাস বয়সী এক মেয়ে আছে। সাহিদ পেশায় একজন আলোকচিত্রী।

লাকির মা হাজেরা খানম দাবি করেন, বিয়ের পর থেকে পারিবারিক বিষয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। প্রায় সময়ই লাকিকে সাহিদ মারধর করতেন। মামলার এজাহারে লাকিকে বিভিন্ন সময়ে নির্যাতন করার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।