‘স্বতন্ত্র’ হিসেবে মাঠে বিএনপি

বিএনপি

সিলেটের ৩টি উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী’ হিসেবে বিএনপির ১৫ নেতা-কর্মী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। যদিও বিএনপি দলীয়ভাবে এ ইউপি নির্বাচনে অংশ নেয়নি। জেলা বিএনপির নেতারা বলেন, নির্বাচনের মাঠে থাকা নেতা-কর্মীদের বিষয়ে কেন্দ্রে জানানো হবে।

গত বৃহস্পতিবার যাচাই-বাছাইয়ের পর তাঁদের সবার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়। দ্বিতীয় ধাপে আগামী ১১ নভেম্বর এসব ইউপিতে ভোট গ্রহণ হবে।

প্রার্থীদের তালিকা ঘেঁটে দেখা গেছে, বালাগঞ্জ উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এর মধ্যে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য তিনটি ইউপিতে বিএনপির তিনজন নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাঁরা তিনজনই উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য। এর মধ্যে দেওয়ানবাজার ইউপিতে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল আলম। বালাগঞ্জ সদর ইউপিতে প্রার্থী হয়েছেন বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আবদুল মুনিম। পূর্ব গৌরিপুর ইউপিতে প্রার্থী হয়েছেন উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।

সদর উপজেলায় চারটি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে তিনটি ইউপিতে বিএনপির পাঁচজন নেতা-কর্মী স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে হাটখোলা ইউপিতে প্রার্থী হয়েছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম। মোগলগাঁও ইউপিতে প্রার্থী হয়েছেন বিএনপির কর্মী মো. ফজলু মিয়া। জালালাবাদ ইউপিতে ইসলাম উদ্দিন, মো. আশিক আলী ও মুজিবুর রহমান প্রার্থী হয়েছেন।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার পাঁচটি ইউপিতে নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে চারটি ইউপিতে সাতজন স্বতন্ত্র প্রার্থী বিএনপি কর্মী বলে জানা গেছে। তাঁরা হলেন ইসলামপুর পূর্ব ইউপির মো. আলমগীর আলম; ইছাকলস ইউপির মো. মকবুল আলী, আবুছাদ আবদুল্লাহ ও বর্তমান চেয়ারম্যান মো. কুটি মিয়া; উত্তর রণিখাই ইউপির মো. গিয়াস উদ্দিন এবং দক্ষিণ রণিখাই ইউপিতে শামস উদ্দিন শাহীন ও মো. শাহাব উদ্দিন। তবে স্থানীয় লোকজন বলেন, ইছাকলস ইউপির কুটি মিয়া একসময় বিএনপির সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলেও এখন নিষ্ক্রিয়।

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কামরুল হুদা জায়গীরদার বলেন, বিএনপি এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনেই যাবে না, এটা কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত। এ সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে যাঁরা ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন, তাঁদের ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, সেটা কেন্দ্র থেকে জানানো হবে। তবে বিএনপি দলের নেতা-কর্মীদের প্রার্থী হতে নিরুৎসাহিত করছে। যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা নিজ দায়িত্বেই প্রার্থী হচ্ছেন। দলের কোনো পর্যায়ের নেতা-কর্মী ওই প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করবেন না।