গিয়াস উদ্দিন প্রথম আলোকে, ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের ফিশারি রোড এলাকায় তাঁর একটি জমি আছে। সেখানে বাড়ি করতে গিয়ে ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর হোসেনের দুই ভাই হুমায়ুন কবির ও তৌহিদুল ইসলাম ওরফে মুন্নার সঙ্গে তাঁদের পরিচয় হয়। সুসম্পর্কের কারণে তিনি বাড়ি নির্মাণের যাবতীয় কাজে তাঁদের সহযোগিতা চান। সে অনুযায়ী কাজও চলছিল। কিন্তু গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে হঠাৎ করে তৌহিদুল ইসলাম তাঁকে (সেনাসদস্য) নানা বিষয় নিয়ে বকাঝকা শুরু করলে তাঁদের দুজনের মধ্যে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তৌহিদুল ইসলাম উত্তেজিত হয়ে তাঁর স্ত্রী আতিয়া খানমকে লক্ষ্য করে একটি ইট নিক্ষেপ করেন। এতে তাঁর স্ত্রীর মাথায় আঘাত লাগলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় তিনি হত্যা মামলা করবেন বলে জানান।
অভিযোগের বিষয়ে তৌহিদুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা জগলুল মোর্শেদ বলেন, গিয়াস উদ্দিন ও তৌহিদুলের মধ্যে ঝগড়া ও হাতাহাতির সময় গিয়াসের স্ত্রী আতিয়া খানম তা থামাতে এসে অসুস্থ হয়ে পড়েন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আতিয়া খানম মারা যান।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন–২ ইউনিটের সহকারী রেজিস্ট্রার শুভ ওঝা বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে আমাদের ধারণা, আতিয়া খানম মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের কারণে মারা গেছেন। এ ছাড়া তাঁর উচ্চ রক্তচাপ ছিল।’
বরিশাল নগর পুলিশের বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কমলেশ চন্দ্র হালদার আজ সোমবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। আমরা প্রাথমিকভাবে তদন্ত করে যা পেয়েছি, তাতে এটি হত্যা নাকি অসুস্থতাজনিত মৃত্যু, তা নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। লাশ এখনো হাসপাতালের মর্গে আছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এবং লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্ত সাপেক্ষে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।’