স্বামীর সঙ্গে বাবার বাড়ি যাওয়া হলো না গৃহবধূর
স্বামীর মোটরসাইকেলের পিছনে বসে বাবার বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন চন্দনা রানী। কিন্তু বাবার বাড়িতে আর যাওয়া হয়নি তাঁর। পথে ট্রাকের ধাক্কায় সড়কে ছিটকে পড়ে প্রাণ হারান তিনি। গতকাল সোমবার রাতে পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার সাঁকোয়া বাজার এলাকায় বোদা-দেবীগঞ্জ মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত চন্দনা রানী (২০) পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার কালান্দীগঞ্জ এলাকার সুমন চন্দ্র শীলের স্ত্রী। দুর্ঘটনায় সুমন চন্দ্র শীল (২৬) সামান্য আহত হন। দুই মাস আগে তাঁদের বিয়ে হয়েছিল।
এ ঘটনায় রাতেই সুমন চন্দ্র শীলের বড় ভাই সুভাষ চন্দ্র শীল বোদা থানায় অজ্ঞাতনামা ট্রাকচালকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন।
পুলিশ, স্থানীয় লোকজন ও নিহত চন্দনার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রায় দুই মাস আগে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার কালান্দীগঞ্জ এলাকার নিপেন চন্দ্র শীলের ছেলে সুমন চন্দ্র শীলের সঙ্গে নীলফামারী জেলার ডোমার উপজেলার শংকর চন্দ্র শীলের মেয়ে চন্দনা রানীর বিয়ে হয়।
গতকাল রাত সাড়ে আটটার দিকে চন্দনাকে নিয়ে মোটরসাইকেলে নীলফামারী জেলার ডোমার এলাকায় শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন সুমন চন্দ্র শীল। এ সময় বোদা-দেবীগঞ্জ সড়কের সাঁকোয়া বাজার এলাকায় একটি ট্রাক তাঁদের মোটরসাইকেলটিকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এতে নববধূ চন্দনা মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়েন এবং ঘটনাস্থলেই মারা যান। ঘটনার পর ট্রাক নিয়ে চালক পালিয়ে যান। পরে খবর পেয়ে বোদা থানা–পুলিশ নিহত চন্দনার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বোদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল ইসলাম সরকার বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। ট্রাকচালককে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। নিহত চন্দনার পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।