হত্যা মামলার সাক্ষী হওয়ায় সাংবা‌দিকের ওপর হামলার অভিযোগ

সিলেট জেলার মানচিত্র

সিলেটে হত্যা মামলার সাক্ষী হওয়ায় স্থানীয় সাংবাদিক আবদুর রবের (৪৫) ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে তাঁর হাত ও পায়ে গুরুতর জখম হয়েছে। গতকাল রোববার সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব ইউনিয়নের লোহাজু‌রি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

গুরুতর আহত আবদুর রব বর্তমানে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি কানাইঘাট উপজেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সহসভাপতি ও সিলেটের স্থানীয় দৈনিক বিজয়কণ্ঠ পত্রিকার কানাইঘাট প্রতিনিধি। কানাইঘাটের এ‌রালীগুল গ্রামের বাসিন্দা তিনি।

পু‌লিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জ‌মি নিয়ে বিরোধের জেরে ২০২০ সালের শেষ দিকে খুন হন নজরুল ইসলাম। নজরুল হত‌্যার ঘটনায় তাঁর ছেলে দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার সাক্ষী ছিলেন আবদুর রব। তাঁর খালু নিহত নজরুল। মামলা পরিচালনার দায়িত্বও পালন করেন আবদুর রব। গতকাল বেলা দেড়টার দিকে আবদুর রব লোহাজুরি জামে মসজিদের নির্মাণকাজ দেখতে যান। এ সময় হত্যা মামলা‌র আসামি এরালীগুল গ্রামের আলা উদ্দিন, জুনেদ আহমদ, মিকিরপাড়া গ্রামের আবদুল কাইয়ূম, মাহিন আহমদ, আবদুস শহীদ, ফখর উদ্দিনসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে আবদুর রবের ওপর হামলা চালান। তাঁর চিৎকারে মসজিদের নির্মাণশ্রমিক ও স্থানীয় লোকজন এগিয়ে গেলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে আবদুর রবকে উদ্ধার করে প্রথমে কানাইঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

হামলার বিষয়ে জানার জন্য অভিযুক্ত আসামিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁদের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।

আহত আবদুর রবের খালাতো ভাই দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘আমার বাবাকে হত‌্যার মামলার আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আবদুর রব তৎপরতা চালাচ্ছিলেন। সেই সঙ্গে তি‌নি মামলার গুরুত্বপূর্ণ সা‌ক্ষী। এ জন্য প্রতিপক্ষ তাঁর ওপর হামলা চালিয়েছে।’

নাইঘাট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল হক বলেন, হামলাকারীদের গ্রেপ্তারে গতকাল রাতভর অভিযান চালানো হয়েছে। তবে সোমবার বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। হামলাকারীদের সঙ্গে আহত আবদুর রবের মামলা–মোকদ্দমা নিয়ে পূর্ববিরোধ ছিল। তি‌নি তাঁর খালু হত‌্যা মামলার সাক্ষী। এসব নিয়ে বিরোধের জে‌রে হামলার ঘটনা ঘটতে পারে। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।