হাসপাতালের কাছে ভাগাড়

প্রতিদিন আবাসিক এলাকার লোকজন ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দুর্গন্ধে নাকাল হচ্ছে

খোলা জায়গায় ময়লার ভাগাড়। সম্প্রতি মতলব পৌর শহরের ঘোষপাড়া এলাকায়
প্রথম আলো

চাঁদপুরের মতলব পৌর শহরের মাঝখানে ঘোষপাড়া আবাসিক এলাকা। পাশেই একটি সরকারি ও একটি বেসরকারি হাসপাতাল। এমন একটি স্থানে সড়কের পাশে দীর্ঘদিন ধরে ময়লা–আবর্জনা জমে আছে। এগুলো দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারপাশে। আবাসিক এলাকার লোকজন ও হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা দুর্গন্ধে নাকাল হচ্ছে প্রতিদিন।

সম্প্রতি সরেজমিনে দেখা যায়, ঘোষপাড়া আবাসিক এলাকার নুরুল ইসলাম নুরু সড়কের পাশে বড় জায়গাজুড়ে ময়লার স্তূপ। আশপাশের বাসার লোকজনসহ পৌর বাজারের দোকানি ও হোটেল-রেস্তোরাঁর কর্মচারীরা সেখানে আবর্জনা ফেলছেন। আবর্জনা জমে সেখানে তৈরি হয়েছে ভাগাড়, তা থেকে তীব্র দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে চারপাশে। বেড়ে গেছে মশা-মাছি ও পোকামাকড়ের উপদ্রব।

স্থানীয় স্কুলশিক্ষক সরকার সোহেল আহম্মেদ বলেন, এখানে দুই শতাধিক পরিবারের বাস। পাশেই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও একটি বেসরকারি হাসপাতাল। আবর্জনার পাশ দিয়েই আবাসিক এলাকার লোকজন ও হাসপাতালে আসা কয়েক শ রোগী ও তাঁদের স্বজনদের আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। তীব্র দুর্গন্ধে নাকাল হচ্ছে তারা। নাকে রুমাল চেপে অনেকেই পথ চলছে সেখানে। এই পথে চলতে গিয়ে তিনি, তাঁর পরিবারের সদস্যরাসহ ওই এলাকার লোকজন প্রতিদিন দুর্গন্ধের শিকার হচ্ছেন। আবর্জনা সরাতে পৌর কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে জানিয়েও কোনো কাজ হচ্ছে না।

স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর ভাষ্য, দীর্ঘদিন ধরে ওই স্থানে বস্তা বস্তা আবর্জনা ফেলা হচ্ছে। পৌরসভাটি প্রথম শ্রেণিতে উন্নীত হলেও আজ পর্যন্ত কোনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা গড়ে ওঠেনি। ঘোষপাড়ার ওই স্থান ছাড়াও শহরের যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলা হচ্ছে। এতে মানষ চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে। কর্তৃপক্ষের দায়িত্বহীনতার ফলেই এ সমস্যা তৈরি হয়েছে।

পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন বলেন, একটি নির্দিষ্ট স্থানে পৌর শহরের ময়লা-আবর্জনা রাখার জন্য স্থানীয় প্রশাসনের কাছে জায়গা চেয়েও পাওয়া যায়নি। এ জন্য পৌর এলাকায় কোনো বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নেই। মানুষও যেখানে-সেখানে ময়লা ফেলছে। সরকারিভাবে জায়গা পাওয়া গেলে আবর্জনা ফেলার জন্য নির্ধারিত স্থান তৈরি হবে। তখন এ সমস্যা থাকবে না।