হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন দিয়ে হাঁটছিল কলেজছাত্রী, ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু

লাশ
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে মুঠোফোনে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন দিয়ে হাঁটছিল এক কলেজছাত্রী। পরে ট্রেনের ধাক্কায় তার মৃত্যু হয়েছে। আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঘোড়াশাল রেলস্টেশনের কাছে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া কলেজছাত্রীর নাম জয়া দাস (১৭)। সে নরসিংদীর পলাশ উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের ভালুকাপাড়া গ্রামের তপন দাসের মেয়ে। গাজীপুরের কালীগঞ্জের সেন্ট মেরি গার্লস কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল জয়া।

রেলওয়ে পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জয়া দাস কানে মুঠোফোনে হেডফোন গুঁজে রেললাইন ধরে হাঁটছিল। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আন্তনগর কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি তাকে ধাক্কায় দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে খবর পেয়ে বেলা দেড়টার দিকে নরসিংদী রেলওয়ে ফাঁড়ির সহকারী উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইকবাল হোসেন ঘটনাস্থলে যান। নিহতের স্বজনেরাও খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর জয়ার লাশ নরসিংদী রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নেওয়া হয়।

জয়া দাসের বাবা তপন দাস বলেন, আজ সকালে জয়া তার কলেজে অ্যাসাইনমেন্ট জমা দিতে গিয়েছিল। অ্যাসাইনমেন্ট জমা দেওয়া শেষে রেললাইন ধরে হাঁটতে হাঁটতে বাড়ি ফেরার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় যেহেতু কারও বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই, তাই ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তরের আবেদন জানিয়েছেন তিনি।

এসআই ইকবাল হোসেন বলেন, হেডফোন গুঁজে অসতর্কভাবে রেললাইন ধরে হাঁটার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে তার স্বজনেরা ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ হস্তান্তরের জন্য আবেদন জানিয়েছেন।