হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে মামলা নিতে সাংসদের আলটিমেটাম

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনের সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী
সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতার ঘটনায় হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বিরুদ্ধে করা এজাহারটি মামলা হিসেবে গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন সাংসদ র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। গতকাল শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক আইডি থেকে এ–সংক্রান্ত একটি পোস্টে তিনি এ দাবি জানান।

হেফাজতে ইসলামের জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সাজিদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মুফতি মুবারকুল্লাহসহ ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে ১ মে সন্ধ্যায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এজাহার দায়ের করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) সাংসদ উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। ওই দিন সন্ধ্যায় সাংসদের পক্ষে তাঁর আইনজীবী ও শহর আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আবদুল জব্বার এজাহারটি সদর মডেল থানায় জমা দেন। এজাহারে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারে বৈধ সরকারকে উৎখাত করার ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতা চালানোর অভিযোগ আনা হয়। সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি।

গতকাল শনিবার রাতে নিজের ফেসবুক থেকে ইংরেজিতে দেওয়া স্ট্যাটাসে মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘আমি চাই আমার এজাহারটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় আইসিটি আইনে নিয়মিত মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হোক অথবা প্রত্যাখ্যান করা হোক। যাতে আমি আদালতে মামলা করতে পারি। এটা ২৪ তারিখের মধ্যে (২৪ মে সোমবার) করুন। এটা আমার আলটিমেটাম।’

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাংসদের এজাহারে উল্লেখিত ফেসবুকের লিংকগুলো থেকে রাষ্ট্রবিরোধী ও উত্তেজনাকর পরিস্থতি তৈরির পোস্ট দেওয়া হয়েছিল কি না, সেটি পরীক্ষা করে মতামত দেওয়ার জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) কাছে চিঠি দেয় সদর থানা–পুলিশ। কিন্তু তিন সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও এজাহারটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়নি।

সাংসদ মোকতাদির চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘২৪ মের মধ্যে যদি আমার এজাহার নিয়মিত মামলা হিসেবে নথিভুক্ত না করা হয়, তাহলে আমি আদালতে যাব।’

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম বলেন, এটি মতামতের জন্য সিআইডিতে পাঠানো হয়েছে। সিআইডির মতামত এখনো পাওয়া যায়নি। অন্যান্য মামলার ক্ষেত্রে মতামত আসতে দু-তিন সপ্তাহ বা কমবেশি সময় লাগে বলে জানান তিনি।

প্রসঙ্গত, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাংলাদেশ সফর, ঢাকার বায়তুল মোকাররম ও চট্টগ্রামের হাটহাজারীর মাদ্রাসার ঘটনার প্রতিবাদে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সহিংসতা চালান হেফাজতে ইসলামের নেতা–কর্মী ও সমর্থকেরা। এসব ঘটনায় জেলায় ১৫ জন নিহত হন। এখন পর্যন্ত এসব ঘটনায় ৫৬টি মামলা হয়েছে।