১০৫তম জন্মবার্ষিকীতে গানে-গানে শাহ আবদুল করিমকে স্মরণ

এক ফ্রেমে অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা। সোমবার রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল মিলনায়তনে
ছবি: তাফসিলুল আজিজ

গানে গানে পালন করা হয়েছে বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিমের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী। গতকাল সোমবার রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তাঁকে স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন কিশোরগঞ্জ সংস্কৃতি মঞ্চ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা শাহ আবদুল করিমের গানগুলো বাঁচিয়ে রাখার জন্য নতুন প্রজন্মের কাছে আহ্বান জানান। তাঁরা বলেন, শাহ আবদুল করিমের গান নিয়ে এখন অনেকেই পিএইচডি ডিগ্রি নিচ্ছেন। তাই এই গুণী শিল্পীর গানগুলো সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।

বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম কিশোরগঞ্জ শাখার সভাপতি মু আ লতিফের সভাপতিত্বে বক্তৃতা দেন নাট্যজন আতাউর রহমান খান, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত লোকসংগীত শিল্পী আবুল হাশেম ও বাঁধন রায়।

গানে গানে স্মরণ করা হয় বাউলসম্রাট শাহ আবদুল করিমকে। সোমবার রাতে কিশোরগঞ্জ জেলা শহরের বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল মিলনায়তনে
ছবি: তাফসিলুল আজিজ

আলোচনা সভার পর শাহ আবদুল করিমের লেখা সংগীত পরিবেশন করেন লোকসংগীতশিল্পী আবুল হাশেম, বাউল গিয়াস উদ্দিন, এম আর বাবুল ভূঁইয়া, কামাল আহমেদ, বাউল ছাত্তার, কায়েস আকন্দ, জহিরুল হাসান রুবেল ও ভাবনা। যেসব গান গেয়ে কিংবদন্তি সংগীতজ্ঞ শাহ আবদুল করিমকে স্মরণ করা হয়, সেগুলো হলো ‘বসন্ত বাতাসে সই গো’, ‘বন্ধে মায়া লাগাইছে’, ‘প্রাণনাথ ছাড়িয়া যাইওনা আমারে’, ‘কোন মেস্তুরি নাও বানাইছে’, ‘গাড়ি চলে না’, ‘আগের বাহাদুরি এখন গেল কই’ ও ‘কুলহারা কলঙ্কিনী’।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই কিশোরগঞ্জ সংস্কৃতি মঞ্চের সভাপতি মো. জিয়াউর রহমান শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শামীম রেজা।