সুক নদী খনন
১০ মাসের মাথায় তলদেশ ভরাট, চলছে চাষাবাদ
৬৪টি জেলার অভ্যন্তরের ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের আওতায় সুক নদী খনন করা হয়েছে।
ঠাকুরগাঁওয়ে সুক নদী খননের কাজ শেষ হয়েছে গত বছরের এপ্রিলে। এর মধে৵ই নদীর তলদেশে জমেছে বালুর স্তর। এর সুযোগে সেখানে ধানসহ সবজির চাষ শুরু হয়েছে। এত দ্রুত বালুর স্তর জমায় খননকাজের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন স্থানীয় লোকজন।
সুক নদী পঞ্চগড়ের আটোয়ারী উপজেলার রাধানগর ইউনিয়নের নিম্নভূমি থেকে উৎপত্তি লাভ করেছে। ঠাকুরগাঁও সদরের রহিমানপুর, মোহাম্মদপুর ও নারগুন ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে পতিত হয়েছে টাঙ্গন নদে।
গত বুধবার সকালে সুক নদীর পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, ঢোলারহাট থেকে ইসলামনগর পর্যন্ত নদীর বিভিন্ন জায়গায় স্থানীয় লোকজন চাষাবাদ করেছেন। ঢোলারহাট এলাকায় মহাদেবপুর গ্রামের মো. হাসিম, উত্তর বোয়ালিয়া গ্রামের মজিদ, আবদুল জব্বারসহ কয়েকজন ধান, মিষ্টি আলু ও সবজির চাষ করছেন।
নদীর ওপর একটি সেতুর পাশেই স্থাপন করা হয়েছে নির্দেশনা বোর্ড। সেখানে লেখা, নদীর ভেতর ধান লাগানো, কোনো ফসল আবাদ করা যাবে না। হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী, নদীর স্বাভাবিক গতিধারা বাধাগ্রস্ত করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ঠাকুরগাঁও কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ‘৬৪টি জেলার অভ্যন্তরের ছোট নদী, খাল এবং জলাশয় পুনঃখনন (প্রথম পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় সুক নদী খনন করা হয়েছে। ৬ কোটি ৯০ লাখ ৫২ হাজার টাকা চুক্তিমূল্যে নদীর ২৪ কিলোমিটার খননের পর পাড়ে ঘাস ও গাছ রোপণের কাজ পায় এস আর অ্যান্ড জেএইচ জেভি নামে যৌথ অধিকারভিত্তিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেওয়া হয় ২০১৯ সালের ৩ মে। এক দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ শেষ হয় গত বছরের এপ্রিলে।
ঢোলারহাট এলাকার বাসিন্দা নজরুল ইসলামের (৪৫) অভিযোগ, যেনতেনভাবে নদী খননের কাজ শেষ করা হয়েছে। তা না হলে কাজ শেষ হতে না–হতেই নদীতে সবজি ও ধান চাষ করা যাচ্ছে কেমন করে। তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অংশীদার জামাল হোসেন বলেন, কার্যাদেশ অনুযায়ী কাজ শেষ করেছেন। উজান থেকে বালু এসে তলদেশ ভরাট হয়েছে। সেখানে স্থানীয়রা চাষাবাদ করছেন। এটা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের দেখার বিষয় না।