১১ জন হাসপাতালে, অনশন ভাঙেননি কেউই

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়া এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। ছবিটি শুক্রবার সকালে তোলা
ছবি: আনিস মাহমুদ

সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযু‌ক্তি বিশ্ববিদ‌্যালয়ের (শাবিপ্রবি) উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমেদের পদত‌্যাগের দা‌বিতে আমরণ অনশনে থাকা ১১ শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তবে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকলেও এখনো তাঁরা অনশন ভাঙেননি বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বুধবার দুপুর থেকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে আমরণ অনশনে বসেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪ শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে তাঁদের অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। আজ শুক্রবার ভোরে সর্বশেষ এক শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে পাঠানো ১১ শিক্ষার্থী ছাড়াও এক শিক্ষার্থীর পরিবারের সদস্য হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার খবরে তিনি বাড়ি ফিরে গেছেন। উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অনশন চালিয়ে যাওয়া শিক্ষার্থীদের পাশে পালা করে তাঁদের সহপাঠীরা থাকছেন।

হাসপাতালে ভর্তি শিক্ষার্থীদের শারীরিক অবস্থার বিষয়ে সিলেট এম এ জি ওসমানী মে‌ডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিক্ষানবিশ চি‌কিৎসক নাজমুল হাসান প্রথম আলোকে বলেন, অসুস্থদের মধ্যে কয়েকজনের অ‌্যাজমার সমস‌্যা রয়েছে। ঠান্ডা এবং খাবার না খাওয়ায় ডিহাইড্রেশনের সমস‌্যা হচ্ছে। এ জন‌্য তাঁদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আন্দোলনের সূত্রপাত ১৩ জানুয়া‌রি। ওই দিন রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেগম সিরাজুন্নেসা চৌধুরী হলের প্রাধ্যক্ষ জাফরিন আহমেদের বিরুদ্ধে অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তাঁর পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন হলের কয়েক শ ছাত্রী। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে হলের ছাত্রীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগ।

রোববার বিকেলে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করেন। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা ও তাঁদের লক্ষ্য করে শটগানের গুলি ও সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। ওই দিন রাত সাড়ে আটটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার ঘোষণা দিলেও শিক্ষার্থীরা তা উপেক্ষা করে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা, রাজশাহী, জাহাঙ্গীরনগর, খুলনা ও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা।