১২টি পদ শূন্য, ফেস্টুন টানিয়ে প্রতিবাদ প্রধান শিক্ষকের

ময়মনসিংহ নগরের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে বিভিন্ন পদ খালি। শূন্য পদ পূরণের দাবিতে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষকেরা
সংগৃহীত

ময়মনসিংহের বিদ্যাময়ী সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তারের কার্যালয়ে ঝুলছে একটি ফেস্টুন। তাতে লেখা ‘শিক্ষক কাম দপ্তরি-কাম-পিয়ন-দারোয়ান-কাম সুইপার-কাম ঝাড়ুদার-মালি, নাছিমা আক্তার, দুই বারের শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক’। বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির ১২টি পদ শূন্য। এ অবস্থার প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি নিজের কক্ষে এ ফেস্টুন ঝুলিয়েছেন।

১২টি শূন্য পদ পূরণ করার দাবিতে গতকাল বুধবার সকালে ফেস্টুন হাতে বিদ্যালয়ের ফটকের সামনে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করেছেন নাছিমা আক্তারসহ বিদ্যালয়ের অন্য শিক্ষকেরা। প্রধান শিক্ষক বলেন, বিদ্যালয়ের দারোয়ান, মালি, ঝাড়ুদারসহ তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীদের মোট ১৪টি পদের মধ্যে ১২টি শূন্য রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকার এ পদগুলো পূরণের দাবি জানানো হয়েছে। কিন্তু লোকবল নিয়োগ দেওয়া হয়নি।

প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে দীর্ঘদিন পর বিদ্যালয়গুলো খুলেছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবাইকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখন তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের বেশি প্রয়োজন। লোকবল সংকটের মধ্যে গত মঙ্গলবার বিদ্যালয়ের একজন কর্মী অবসরে যান।

নাছিমা বলেন, করোনার কারণে বিদ্যালয় যখন বন্ধ ছিল, রাতের বেলায় প্রায়ই দেয়াল টপকে ক্যাম্পাসে থাকা পুকুরে মাছ ধরতে আসত অনেকে। এখন দিনের বেলাতেও বহিরাগতরা দেয়াল টপকে দা হাতে নিয়ে গাছের নারকেল পাড়তে ঢুকে পড়ে। এখন অবস্থা এমন যে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের অনেক কাজ তাঁকে করতে হচ্ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের ময়মনসিংহ অঞ্চলের উপপরিচালক আবু নুর মোহাম্মদ আনিসুল চৌধুরী বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে তিনি একবার শিক্ষকদের শূন্য পদ পূরণের দাবিতে আবেদন করেছিলেন। তৃতীয় বা চতুর্থ শ্রেণির শূন্য পদের জন্য কোনো আবেদন করেননি। প্রধান শিক্ষক আবেদন পাঠালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।