১৩ বছরে আমাদের অনেক রক্ত ঝরেছে: গয়েশ্বর

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকায় বুধবার ত্রাণ বিতরণ করে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়
ছবি: প্রথম আলো

আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিএনপির নেতা–কর্মীদের রক্ত ঝরে চলেছে বলে মন্তব্য করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। সরকারের শত অত্যাচারেও বিএনপিকে লক্ষ্যচ্যুত করা যাবে না বলে জানান তিনি।

দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪১তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের মির্জাপুর এলাকায় আজ বুধবার দরিদ্রদের মধ্যে ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন গয়েশ্বর।

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের অনেক রক্ত ঝরে গেছে। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় যেমন রক্ত ঝরেছিল, গত ১৩ বছরে তেমন অনেক রক্ত ঝড়ে গেছে। আমাদের অনেক নেতা-কর্মী রাজপথে রক্ত দিয়েছেন, গুম হয়েছেন। এমনকি ঘরবাড়ি ছাড়া হয়ে গেছে। তাই বলে লক্ষ প্রাণের আমাদের যে যাত্রা তা থেমে থাকবে না।’

জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীর দিন গত সোমবার অসহায় ও দুস্থদের মধ্যে ত্রাণ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণের কথা ছিল দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ বিএনপির। গত রোববার রাত ৯টার দিকে জিনজিরায় দলের কার্যালয়ে এসব সামগ্রী প্যাকেট করার সময় হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। স্থানীয় বিএনপির দাবি, ওই হামলার নেতৃত্বে ছিলেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী নেতা সাকুর হোসেন। তাঁরা দেশীয় অস্ত্র এবং লাঠিসোঁটা নিয়ে কার্যালয়ে হামলা করে। হামলায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। একপর্যায়ে হামলাকারীরা দলের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

ওই ঘটনা প্রসঙ্গে গয়েশ্বর বলেন, ‘গত রোববার রাতে জিনজিরায় দলের কার্যালয়ে যা হয়েছে, সেটা জিনজিরার মানুষ প্রত্যক্ষভাবে দেখেছে। এটা পুরোনো ষড়যন্ত্র। এই ষড়যন্ত্র চলমান। এটা আগে ছিল, সামনেও থাকবে। এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে আমাদের কর্ম করতে হবে। আমরা বিজয়ের কাছাকাছি। অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন ও গণতান্ত্রিক কণ্ঠরোধের মধ্য দিয়ে এই সরকারের টিকে থাকার আর নূ৵নতম অবকাশ আছে বলে আমি বিশ্বাস করি না। বিএনপি পেশিশক্তি দিয়ে নয়, রাজনীতিকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করবে।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সভাপতি নিপুণ রায় চৌধুরী। বক্তব্য দেন যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহসভাপতি আবু সেলিম চৌধুরী, দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোজাদ্দেদ আলী, সহসভাপতি আরশাদ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক ইশা খান, তেঘরিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোল্লা ও আমজাদ হোসেন প্রমুখ।