১৪৪ ধারা দিয়ে লাভ হবে না, জোয়ার শুরু হলে বাঁধ দিয়ে আটকে রাখা যায় না: আমীর খসরু

ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। শনিবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ১৪৪ ধারা কেন, আরও কোনো ধারা দিয়েও লাভ হবে না। ধারার সময় শেষ হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জসহ অন্যান্য জায়াগার মতো ব্রাহ্মণবাড়িয়াতেও ধারা দিয়ে কাজ হয়নি। জোয়ার যখন শুরু হয়, সেটি বাঁধ দিয়ে রক্ষা করা যায় না।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে আয়োজিত বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ শনিবার বেলা তিনটার দিকে উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের বটতলী বাজারে এ সমাবেশ হয়।

আরও পড়ুন

এদিক বিএনপির সমাবেশের পূর্বনির্ধারিত স্থান শহরের ফুলবাড়িয়া কনভেনশন সেন্টারের সামনের খালি জায়গায় একই সময় ছাত্রলীগও সমাবেশের ডাক দেওয়ায় ওই এলাকাসহ পুরো পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে জেলা প্রশাসন। ১৪৪ ধারার বাধা ডিঙিয়ে পৌর এলাকার ফুলবাড়িয়া থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দূরে সদর উপজেলার বটতলী বাজারে সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করায় সদর উপজেলার নাটাই উত্তর ইউনিয়নের দক্ষিণ বাজারে সমাবেশ করছে বিএনপি। শনিবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

সমাবেশে আমীর খসরু বলেন, ‘সরকারকে বলছি, আপনারা সংবিধানের যে শপথ নিয়েছেন জনগণকে সুরক্ষা দেওয়ার, সেই দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করুন। বাংলাদেশের মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় এই সরকার জড়িত হচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চাচ্ছে। চোরদের বলতে চাই, জনগণ নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে। সেই পথ থেকে সরে আসুন।’

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য তাঁকে বিদেশে পাঠানোর দাবিতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপির সমাবেশে দলের কর্মীরা। শনিবার বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

সরকারি কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, কাউকে ক্ষমতায় রাখার জন্য আপনারা সরকারি কর্মকর্তা হননি। সরকারি কর্মকর্তা হয়েছেন বাংলাদেশের জনগণের সেবা করার জন্য। দলীয় নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘সাহসের সঙ্গে আগামী দিনগুলোতে দলীয় কার্যক্রম এগিয়ে নিতে হবে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ঐতিহাসিকভাবে জাতীয়তাবাদীর শক্তি। যারা রাজনৈতিকভাবে জনগণের ভোটাধিকার কেড়ে নেয়, তাদের জায়গা ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হবে না। ভবিষ্যতে সব অনৈতিক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করব। যারা অনৈতিক কর্মকাণ্ড করছে, তারা কেউ রেহাই পাবে না। বিদেশে পালালেও তাদের ছাড় দেওয়া হবে না। এখনো সময় আছে দেশের পক্ষে দাঁড়ান।’

জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও সাবেক সভাপতি হাফিজুর রহমান মোল্লার সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূঁইয়া, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল ও আশুগঞ্জ) আসনের সাংসদ উকিল আবদুস সাত্তার ভূঁইয়া, সংরক্ষিত আসনের সাংসদ রুমিন ফারহানাসহ অনেকে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা খালেদ হোসেন মাহবুব অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।