২৬ বছর পর সম্মেলন, নতুন নেতৃত্বের আশা

১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে পৌর কমিটির সর্বশেষ সম্মেলন হয়। উপজেলা কমিটি আগামী ৬ মার্চ সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করেছে।

দীর্ঘ ২৬ বছর পর ঝিনাইদহের শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হতে যাচ্ছে। আগামী মার্চের প্রথম সপ্তাহে সম্মেলনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। সম্মেলন ঘিরে নেতা–কর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ কারা পাচ্ছেন, তা নিয়ে চলছে গুঞ্জন। তবে অধিকাংশ নেতা–কর্মীই দলীয় কার্যক্রমে গতি ফিরিয়ে আনতে নতুন নেতৃত্ব তৈরি করার দাবি জানিয়েছেন।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৪ ফেব্রুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের এক সভায় মার্চে সম্মেলন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ নির্দেশনা পেয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আগামী ৬ মার্চ তারিখ নির্ধারণ করা হয়। সম্মেলন হওয়ার নির্দেশনা আসার পরই সরব হয়ে উঠেছেন শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এই কমিটির পদপ্রত্যাশীরা ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন এবং দলের উচ্চপর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বিকেল হলেই পৌরসভার মোড়ে মোড়ে নেতা-কর্মীদের জটলা দেখা যাচ্ছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদ কে পাচ্ছেন, তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনাকল্পনা। তবে দল ক্ষমতায় থাকায় নেতা হওয়ার তীব্র প্রতিযোগিতা হবে বলে ধারণা করছেন কর্মীরা।

শৈলকুপা পৌর আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর মাসে পৌর আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন হয়েছিল। দীর্ঘ ২৬ বছর আগের ওই সম্মেলনে শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজম সভাপতি ও কাজী নইমুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক হন। ৫১ সদস্যবিশিষ্ট সেই কমিটির ২৫ জনের বেশি মারা গেছেন। আবার অনেকে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে দলটিতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অনেকে দাবি করেছেন। তবে এই অচলাবস্থার মধ্যেও জাতীয় ও স্থানীয় সব কর্মসূচি পালন করে গেছেন বলে দাবি বর্তমান নেতাদের।

পৌরসভার সাতগাছি এলাকার নজরুল ইসলাম জানান, দীর্ঘদিন পর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করায় নেতা–কর্মীদের মধ্যে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। নেতা হওয়ার জন্য অনেকে লবিংও শুরু করেছেন। দলের মধ্যে এটা থাকবে, তবে সম্মেলন হচ্ছে, এতেই তাঁরা খুশি।

বর্তমান কমিটির সভাপতি শৈলকুপা পৌরসভার মেয়র কাজী আশরাফুল আজম বলেন, ২৬ বছর আগে তাঁদের কমিটি হয়েছিল। এরপর অনেকবার সম্মেলনের জন্য নেতাদের বলেছেন, কিন্তু হয়নি। তিনি বলেন, এবারের সম্মেলনেও তিনি সভাপতি প্রার্থী হবেন। পাশাপাশি বর্তমান সাধারণ সম্পাদকও একই পদের প্রার্থী।

শৈলকুপা উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শিকদার ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে পৌর এলাকায় যে নবীন-প্রবীণ নেতা–কর্মী আছেন, সবাই চান নতুন নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হোক। সেই জায়গা থেকে তিনি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হচ্ছেন। তিনি বলেন, অনেক আগেই পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হওয়া দরকার ছিল।