৫০ হাজার মানুষ দুর্ভোগে ২ বছর

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় কালভার্ট ভেঙে পড়ার প্রায় দুই বছর পরও তা মেরামত করা হয়নি। চাঁদা তুলে স্থানীয় লোকজন একটি সাঁকো তৈরি করেছেন। সোনারামপুর ইউনিয়নের চরমরিচাকান্দি এলাকায় গত রোববার
ছবি: প্রথম আলো

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চরমরিচাকান্দি এলাকায় একটি কালভার্ট দুই বছর আগে ভেঙে যায়। তবে তা মেরামতের জন্য কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। এতে ২০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজার মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকায় স্থানীয় লোকজন চাঁদা তুলে সাঁকো তৈরি করে চলাচল করছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার সোনারামপুর ইউনিয়নের মরিচাকান্দি-শান্তিপুর সড়কের চরমরিচাকান্দি এলাকায় মেঘনা নদীর সঙ্গে সংযুক্ত একটি বিলের ওপর এ কালভার্ট ছিল। ২০১৯ সালের শেষের দিকে কালভার্টটি ভেঙে পড়ে।

গত রোববার দুপুরে দেখা গেছে, কালভার্টের ভাঙা অংশ এখনো অপসারণ করা হয়নি। ভাঙা অংশের ওপর বাঁশ ও কাঠ দিয়ে অস্থায়ী সাঁকো তৈরি করা। হেঁটে মানুষ সাঁকো পার হচ্ছে। কয়েকটি মোটরসাইকেলকে সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে দেখা গেছে।

সেতুর দুই পাশে ইজিবাইকের সারি। সোনারামপুর ও নরসিংদীর সদরের চরদিঘলদী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ সেতু পর্যন্ত যাচ্ছে। পরে তারা হেঁটে সাঁকো পার হয়ে দুই পাশে থাকা ইজিবাইকে উঠে যাতায়াত করছে। স্থানীয় লোকজনের অভিযোগ, এভাবে আসা-যাওয়া করতে তাঁদের ইজিবাইকের ভাড়া গুনতে হচ্ছে বেশি। সময়ও নষ্ট হচ্ছে।

মরিচাকান্দি ডিটি একাডেমির ছাত্রী স্মৃতি আক্তার বলে, সেতুর দুই পাশে ইজিবাইক যাত্রীদের জন্য বসে থাকে। এতে বিদ্যালয়ে যেতে এবং বাড়িতে ফিরতে তাদের অনেক সময় লেগে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা সিরাজ মিয়া বলেন, ‘কাঠ ও বাঁশ দিয়া পুল বানাই। কয়েক দিন পরপরই পুল ঠিক (মেরামত) করি। অহন পর্যন্ত তিন দফায় টাকা তুলছি। যে যত পারছে, টাকা দিছে।’

স্থানীয় লোকজন বলেন, চরমরিচাকান্দি কালভার্ট এলাকা দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৫০ হাজার মানুষ যাতায়াত করে। সোনারামপুর ইউনিয়নের ১১ গ্রামের মানুষকে এ কালভার্ট দিয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় যেতে হয়। পার্শ্ববর্তী নরসিংদীর সদরের চরদিঘলদী ইউনিয়নের ৮টি গ্রামের মানুষও চরমরিচাকান্দি এলাকা দিয়ে বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় যাতায়াত করে। এ সড়ক দিয়ে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ট্রাক, মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, মাইক্রোবাস, রিকশা চলাচল করত। এখন শুধু ভ্যান ও মোটরসাইকেল চলে। অন্যদিকে কয়েক দিন পরপর বাঁশ ও কাঠ সরে যায়। ফলে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয় তাদের।

সোনারামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খোদা মো. শাহিন বলেন, সেতু নির্মাণের জন্য স্থানীয় সাংসদ ও উপজেলা প্রকৌশলীকে তিনি বলেছেন।

উপজেলা প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর হোসাইন বলেন, সেখানে সেতু নির্মাণের জন্য মাটি পরীক্ষা করা হচ্ছে। কার্যক্রম চলছে।