৯ ঘণ্টা বন্ধের পর শিমুলিয়া-জাজিরায় ফেরি চলাচল শুরু

৯ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৬টায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ও শরীয়তপুরের জাজিরা নৌপথে ফেরি চলাচল শুরু হয়েছে। পদ্মা নদীর শরীয়তপুরের বিভিন্ন পয়েন্টে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীতে স্রোত ও ঢেউ বেড়েছে।

তীব্র স্রোত ও নৌপথের টার্নিং পয়েন্টে ঘূর্ণন থাকায় গতকাল রাতে ফেরি চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন সংস্থা (বিআইডব্লিটিসি)। নদীর স্রোত ও ঘূর্ণন না কমলেও নৌপথের দুই ঘাটে অন্তত এক হাজার গাড়ি আটকা পড়ে থাকায় সকাল থেকে ফেরি চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআইডব্লিউটিসি। আজ সকাল থেকে এই নৌপথে পাঁচটি ফেরি চলাচল করছে।

বিআইডব্লিটিসির বাংলাবাজার ঘাটের ব্যবস্থাপক সালাউদ্দিন আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, নদীতে প্রচণ্ড স্রোত। মাস্টাররা রাতে ফেরি চালাতে অপারগতা প্রকাশ করায় গতকাল রাত সাড়ে নয়টার দিকে ফেরি চলাচল বন্ধ করা হয়। কিন্তু দুই ঘাটে অসংখ্য যানবাহন আটকা পড়েছে। ফেরি বন্ধ রাখলে দুর্ভোগ বাড়বে। এ কারণে বিআইডব্লিটিসির নৌপথ বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ নিয়ে ফেরি চালানো শুরু করেছেন মাস্টাররা।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্র জানায়, শিমুলিয়া-জাজিরা নৌপথে আটটি ফেরি চলাচল করত। পদ্মা নদীতে পানি ও স্রোত বাড়ায় গত শনিবার সকাল থেকে দুটি ডাম্প ফেরি ও একটি ছোট ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। এ ছাড়া স্রোতের কারণে গত শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে নৌপথের জাজিরা টার্নিংয়ে ফেরি বেগম সুফিয়া কামাল ও ফেরি বেগম রোকেয়ার সংঘর্ষ হয়। এতে একজন গাড়িচালক মারা গেছেন। আরেক চালক নিখোঁজ। এরপর ওই নৌপথে ফেরি বেগম রোকেয়ার চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

গতকাল রোববার রাতে ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় জাজিরার সাত্তার মাদবর-মঙ্গলমাঝির ঘাটে ছয় শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। শিমুলিয়া ঘাটে চার শতাধিক যানবাহন আটকা পড়ে। আজ সকাল সাড়ে ছয়টায় শিমুলিয়া ঘাট থেকে ফেরি ছেড়ে আসে।

জাজিরা ঘাটে কর্মরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মুজাহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রাতে ফেরি বন্ধ থাকায় ঘাটে ছয় শতাধিক গাড়ি আটকে আছে। তীব্র যানজটে দুর্ভোগে পড়েছে মানুষ। সকাল থেকে ফেরি চলাচল শুরু হওয়ায় গাড়ি পারাপার হচ্ছে।

বিআইডব্লিউটিসির অতিরিক্ত মহাব্যবস্থাপক (মেরিন) আহম্মেদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, জাজিরার মাঝিকান্দ টার্নিংয়ের সিনোহাইড্রোর জেটির কাছে ও পদ্মা সেতুর টার্নিং পয়েন্টে অতিমাত্রায় ঘূর্ণন রয়েছে।

সেখানে ফেরি রাখা যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে রাতে ফেরি চালানো বন্ধ রাখা হয়েছিল। মানুষ সীমাহীন দুর্ভোগে পড়েছে, তাই ঝুঁকি নিয়েই ফেরি চালাতে হচ্ছে। তবে সর্বোচ্চ সতর্কতা বজায় রাখার চেষ্টা চলছে, যেন কোনো দুর্ঘটনা না ঘটে।