মায়ের জানাজায় আসা আসামিকে গ্রেপ্তারের সময় পুলিশের ওপর হামলা, আটক ৪

ফরিদপুর জেলার মানচিত্র

ফরিদপুরের নগরকান্দায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে যৌতুক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত (ওয়ারেন্ট) এক আসামিকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার তালমা ইউনিয়নের মানিকনগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ওই আসামি পালিয়ে গেলেও হামলা চালানোর অভিযোগে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।

এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মানিকনগর গ্রামের মোচেন মোল্লার পাঁচ ছেলের মধ্যে সবার ছোট রোকন মোল্লা (৪২)। প্রথম স্ত্রীকে রেখে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। এ ঘটনায় তাঁর প্রথম স্ত্রী রেহানা বেগম যৌতুকের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। রোকন মোল্লা এই মামলায় দীর্ঘদিন পলাতক থাকায় আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

এদিকে রোকন মোল্লার মা পাচি খাতুন (৬৭) গত রোববার রাত সাড়ে ৮টার দিকে মারা যান। আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মায়ের জানাজা ও দাফনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। মায়ের মৃত্যুর খবর শুনে পলাতক রোকন বাড়িতে আসেন। তিনি জানাজা ও দাফনের কাজে অংশ নেন। দাফন শেষ হওয়ার পর নগরকান্দা থানার একজন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও এক কনস্টেবল সাদাপোশাকে রোকন মোল্লাকে আটক করেন। এ সময় রোকনের স্বজনদের সঙ্গে পুলিশের কথা–কাটাকাটি এবং ধস্তাধস্তি হয়। এ সুযোগে রোকন মোল্লা পালিয়ে যান।

পরে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ঘটনাস্থল থেকে রিপন মোল্লার ভাই মালেক মোল্লা (৫৫), ভাতিজা ওবায়দুর মোল্লা (১৮), মামাতো ভাই বাবু মোল্লা (২৭) ও ভাগনি জামাই লিটন মোল্লাকে (৩৫) আটক করে থানায় নিয়ে যান।

নগরকান্দা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আমিনুর রহমান বলেন, যৌতুক মামলায় পরোয়ানাভুক্ত আসামি রোকনকে ধরতে গেলে আসামির স্বজনেরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে আসামিকে ছিনিয়ে নেন। পরে পুলিশের ওপর এ হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করে থানায় আনা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।