‘না জানিয়ে কমিটিতে নাম’ দেওয়ার অভিযোগ, ফরিদপুরে এনসিপি নেতার পদত্যাগ
ফরিদপুরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদ্য ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি থেকে এবার পদত্যাগ করেছেন যুগ্ম সদস্যসচিব সালেহ আহমেদ। তাঁর দাবি, না জানিয়ে তাঁকে কমিটিতে পদ দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে তিনি নিজের ফেসবুক আইডিতে পদত্যাগপত্র পোস্ট করলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
গত সোমবার রাতে প্রকাশিত এনসিপির ফরিদপুর জেলা আহ্বায়ক কমিটিতে যুগ্ম সদস্যসচিব হিসেবে সালেহ আহমেদকে রাখা হয়েছিল। এর আগে একই অভিযোগ তুলে ১০১ সদস্যবিশিষ্ট ঘোষিত কমিটির সদস্য রনি মোল্লা পদত্যাগ করেন।
গতকাল রাতে জেলা কমিটির আহ্বায়ক ও সদস্যসচিব বরাবর আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানান সালেহ আহমেদ। পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেছেন, ‘আমি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে চাই যে আমি কখনোই জাতীয় নাগরিক পার্টি কিংবা এনসিপি-সংক্রান্ত কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। অতএব, আমাকে দেওয়া ওই পদ গ্রহণ করার কোনো সুযোগ বা ইচ্ছা আমার নেই। আমি জাতীয় নাগরিক পার্টির ফরিদপুর জেলা কমিটির যুগ্ম সদস্যসচিব পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদত্যাগ করছি এবং এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এ বিষয়ে এনসিপির ফরিদপুর জেলার নবঘোষিত আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব সাইফ হাসান খান বলেন, তাঁরা সালেহ আহমেদের পদত্যাগপত্র এখনো হাতে পাননি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেখেছেন। দেখে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি তাঁকে জানিয়েছেন, না জানিয়ে পদ দেওয়ায় তিনি পদত্যাগ করেছেন।
সাইফ হাসান খান দাবি করেন, সালেহ আহমেদকে না জানিয়ে কমিটিতে পদ দেওয়ার কথাটি সঠিক নয়। কারণ, পদ পাওয়ার জন্য তিনি গুগল ফরম পূরণ করেছেন, যার প্রমাণ সংরক্ষিত আছে। এখানে মিথ্যাচারের কোনো সুযোগ নেই।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে এনসিপির ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ফরিদপুর জেলার জন্য ১০১ সদস্যবিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়। নবঘোষিত কমিটিতে হাসিবুর রহমানকে আহ্বায়ক ও সাইফ হাসান খানকে সদস্যসচিব করা হয়েছে। কমিটি অনুমোদনে সই করেন এনসিপির কেন্দ্রীয় পর্যায়ের দুই নেতা—মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসানাত আবদুল্লাহ ও কেন্দ্রীয় সদস্যসচিব আক্তার হোসেন। ফরিদপুর জেলা কমিটি আগামী ছয় মাসের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়।