রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশনে বিএনপি নেতার দখল করা কক্ষটি সিলগালা

বিএনপি নেতার দখল করা রেলস্টেশনের কক্ষটি সিলগালা করে নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশনেছবি: প্রথম আলো

রাজশাহী মহানগর বিএনপি নেতার দখল করা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশনের কক্ষটি সিলগালা করেছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের একটি দল এসে কক্ষটি সিলাগালা করে দেয়।

কক্ষটি দখল করেছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির মতিহার থানার সভাপতি একরাম আলী। দিনের বেলা কক্ষটি তালাবদ্ধ থাকলেও সন্ধ্যা বা রাতের দিকে মাসখানেক ধরে লোকজন নিয়ে তিনি সেখানে বসতেন।

এ বিষয়ে ৮ জুলাই প্রথম আলো অনলাইনে ‘রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশনের কক্ষ বিএনপি নেতার “বসার স্থান”’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। এরপরই বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় রেলস্টেশনটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হলের উত্তর পাশে স্টেশনবাজার এলাকায় অবস্থিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের চলাচলের সুবিধার্থে এ স্টেশন চালু করেছিল বাংলাদেশ রেলওয়ে। তবে দীর্ঘদিন ধরেই স্টেশনটি প্রায় অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। কিছু লোকাল ট্রেন এখানে দাঁড়ায়। বেশ কয়েকজন ছিন্নমূল মানুষ স্টেশনে রাত কাটান।

আরও পড়ুন

গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর কক্ষটি দখলে নিয়ে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়েছিল। তবে মাসখানেক আগে থেকে ওই কক্ষে একরাম আলী ও তাঁর অনুসারীরা নিয়মিত বসছেন। সেটি রং করে চেয়ার-টেবিল বসিয়ে ‘পার্টি অফিস’ বানিয়ে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছেন বলে অভিযোগ স্থানীয় লোকজনের।
গতকাল রাতে স্টেশনটিতে গিয়ে দেখা যায়, কক্ষের দুটি দরজায় তালা দিয়ে সিলগালা করা। স্থানীয় কয়েকজন দোকানির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সংবাদ প্রকাশের পর তারা (দখলদার) আর ওই কক্ষে নিয়মিত বসছেন না। বিকেলে রেল কর্তৃপক্ষ এসে কক্ষ সিলগালা করেছেন।

এ ব্যাপারে রাজশাহী পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের মহাব্যবস্থাপক ফরিদ আহমেদ আজ বুধবার প্রথম আলোকে বলেন, ‘সংবাদ প্রকাশের পর আমরা সরেজমিন বিষয়টির তদন্ত করি। সেখানে আমরা বিষয়টির সত্যতা পাই। এরপর গতকাল স্টাফ পাঠিয়ে আমরা কক্ষটি সিলগালা করে আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই। কে বা কারা দখল করেছিল, সে বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। বিস্তারিত জানতে পারলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’