প্রায় দুই বছর পর যমুনা সার কারখানায় পুরোদমে উৎপাদন শুরু

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় যমুনা সার কারখানার (জেএফসিএল)ছবি: প্রথম আলো

প্রায় দুই বছর পর জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় যমুনা সার কারখানায় (জেএফসিএল) পুরোদমে উৎপাদন শুরু হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে সার উৎপাদন শুরু হলেও গ্যাসের চাপ কম থাকায় আশানুরূপ উৎপাদন করা যাচ্ছে না। বিষয়টি জানান প্রতিষ্ঠানটির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন।

কারখানা সূত্রে জানা যায়, গ্যাস-সংকটের কারণে ২০২৪ সালের ১৫ জানুয়ারি থেকে দেশের সবচেয়ে বড় ইউরিয়া সার কারখানাটির উৎপাদন বন্ধ ছিল। মাঝে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি কারখানায় তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি গ্যাস সরবরাহ শুরু করে। ত্রুটি মেরামতের পর ২৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা থেকে আবার উৎপাদন শুরু হয়। পরে ২৬ ফেব্রুয়ারি রাতে যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে আবার সার উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়।

এরপর ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে ২৭ ফেব্রুয়ারি দুপুর পর্যন্ত ত্রুটি মেরামতের চেষ্টা করে কারখানা কর্তৃপক্ষ। অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের যান্ত্রিক ত্রুটির মেরামতের কাজ শেষ হওয়ার পর ৯ মার্চ সকাল থেকে কারখানায় উৎপাদন শুরু হয়, তবে গ্যাসের চাপ না থাকায় আবারও উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ মাস পর আবারও পুরোপুরিভাবে উৎপাদন শুরু হয়েছে।

আরও পড়ুন

কারখানাটির মহাব্যবস্থাপক (প্রশাসন) দেলোয়ার হোসেন বলেন, চলতি বছরের ৯ মার্চ অ্যামোনিয়া প্ল্যান্টের যান্ত্রিক ত্রুটি মেরামতের পর উৎপাদন শুরু হয়েছিল, তবে কয়েক ঘণ্টার মধ্যে গ্যাসের প্রেশার কমে যায়। এতে উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল সন্ধ্যার দিকে আবারও পুরোপুরি উৎপাদন শুরু হয়েছে। তবে গ্যাসের প্রেশার কম, ৭৫ শতাংশ চাপে গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যেও উৎপাদন অব্যাহত আছে।

সরিষাবাড়ী উপজেলার পোগলদিঘা ইউনিয়নের তারাকান্দিতে দেশের বৃহত্তম দানাদার ইউরিয়া উৎপাদনকারী শিল্পপ্রতিষ্ঠান যমুনা সার কারখানা অবস্থিত। প্রতিদিন ১ হাজার ৭০০ টন উৎপাদনসক্ষমতা নিয়ে ১৯৯১ সালে এ কারখানায় সার উৎপাদন শুরু হয়। কারখানাটি থেকে উত্তরবঙ্গের ১৬ জেলাসহ মোট ১৯ জেলায় সার সরবরাহ করা হয়।

আরও পড়ুন