মির্জাগঞ্জে একক আধিপত্য নেই, হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস

ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণায় কিছুটা ভাটা পড়লেও দুদিন ধরে তা বেশ জোরেশোরে শুরু হয়েছে। নির্বাচনের দিনক্ষণ যতই কাছে আসছে, প্রার্থীরা তাঁদের প্রচার-প্রচারণার কৌশলে পরিবর্তন আনছেন। চেয়ারম্যান পদে যে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তাঁদের মধ্যে কে জিতবেন, কে হারবেন, তা নির্ধারণ করা বেশ কঠিন। প্রার্থীদের মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া গেছে।

৯ জুন এই নির্বাচনের ভোট গ্রহণ হবে। নির্বাচনে দলীয় প্রতীকহীন চারজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে ঋণখেলাপির অভিযোগে একজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। বাকি বৈধ প্রার্থী তিনজনের মধ্যে দুজন আওয়ামী লীগ নেতা ও একজন বিএনপির।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা হলেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণবিষয়ক সম্পাদক খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী (কাপ পিরিচ), উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম (ঘোড়া) ও উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি (বহিষ্কৃত) মো. আশ্রাফ আলী হাওলাদার (আনারস)। তাঁরা তিনজনই জোরেশোরে প্রচারণা চালাচ্ছেন।

উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মো. ইসমাইল হোসেন মৃধা বলেন, ‘খান মো. আবু বকর সিদ্দিকী দুই-দুইবার বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ক্ষমতায় থেকে কাউকে হয়রানি করেননি। দৃশ্যমান অনেক উন্নয়ন করেছেন। এলাকায় তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা আছে। আমরা তাঁর সঙ্গে কাজ করছি। এবারও তিনি জনগণের রায় নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হবেন।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের আরেক সহসভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামী লীগের বড় একটি অংশ মো. জহিরুল ইসলামের পক্ষে কাজ করছেন। আমরা উপজেলার সর্বত্র ভোটারদের কাছে গিয়ে জুয়েলের পক্ষে ভোট চাচ্ছি। আশা করি ৯ তারিখে আমরাই ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিজয়ী হব।’

দল থেকে বহিষ্কার হলেও মো. আশ্রাফ আলী হাওলাদার বিএনপির ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা মন্তব্য করে মাধবখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহীন চৌধুরী পাশা বলেন, বিএনপি-সমর্থিত ভোটাররা ৯ তারিখ কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারলে তিনি নির্বাচিত হবেন।

মির্জাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের কারণে ২৯ মে থেকে পিছিয়ে ৯ জুন মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।