১৩৫০ টাকার সার বিক্রি করা হচ্ছিল ২১৯০ টাকায়
বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) অনুমোদিত সার পরিবেশকদের (ডিলার) কাছ থেকে ৫০ কেজি ওজনের টিএসপি (ট্রিপল সুপার ফসফেট) সারের বস্তা কৃষকের পাওয়ার কথা ১ হাজার ৩৫০ টাকায়। সেই সার প্রতিবস্তা বিক্রি হচ্ছিল ২ হাজার ১৯০ টাকায়। এমন অভিযোগে মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায় এক পরিবেশকের দোকানে অভিযান পরিচালনা করে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে শ্রীপুর উপজেলার কাজলী বাজারে সব্দালপুর ইউনিয়নের ডিলার মেসার্স রহমান ট্রেডার্স নামে ওই প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালানো হয়। ওই পরিবেশক টিএসপির পাশাপাশি ডিএপি সারও সরকার নির্ধারিত দামের অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে ৫০ কেজি বস্তার ১ হাজার ৫০ টাকা দামের ডিএপি (ডায়ামোনিয়াম ফসফেট) সার ১ হাজার ২৫০ টাকায় বিক্রির প্রমাণ পেয়েছে কর্মকর্তারা।
জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর মাগুরা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহম্মেদ প্রথম আলোকে বলেন, সার পরিবেশকের দোকান পরিদর্শনের সময় সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি মূলে টিএসপি ও ডিএপি সার বিক্রির প্রমাণ মিলেছে। এ ছাড়া সারের ক্রয় বিক্রির ভাউচার যথাযথভাবে প্রদান ও সংরক্ষণ না করার অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪০ ধারায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মেসার্স রহমান ট্রেডার্সের মালিক মুন্সি মো. মুশফিকুর রহমান অবশ্য মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘সরকারি যে বরাদ্দ থাকে অনেক সময় চাহিদা তার চেয়ে বেশি থাকে। তাই বাইরে থেকে বেশি দামে সার কিনে আমাদের আনতে হয়। সেগুলো বেশি দামে বিক্রি করা লাগে। আর বাইরে থেকে যেসব সার কেনা হয় তার ক্রয়ের ভাউচার পাওয়া যায় না। এ কারণেই জরিমানা করেছেন কর্মকর্তারা।’