পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর জন্য ইউরেনিয়ামের শেষ চালান রূপপুরে পৌঁছেছে

বিশেষ নিরাপত্তাবলয়ের মধ্য দিয়ে রূপপুর প্রকল্প এলাকার দিকে যাচ্ছে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর। পাবনার ঈশ্বরদীতে
ফাইল ছবি: হাসান মাহমুদ

পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিট চালুর জ্বালানি ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের শেষ চালানটি প্রকল্প এলাকায় পৌঁছেছে। এটি ছিল ইউরেনিয়ামের সপ্তম চালান। পূর্বের মতোই বিশেষ নিরাপত্তা বলয়ে আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সপ্তম চালানের ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর রূপপুর প্রকল্প এলাকায় পৌঁছায়।

এর আগে গত ২৯ সেপ্টেম্বর প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান রূপপুরে পৌঁছায়। গত ৫ অক্টোবর চালানটি প্রকল্প কর্তৃপক্ষের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয়। অনুষ্ঠানে ভার্চ্যুয়ালি অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ঐতিহাসিক এই কমিশনিংয়ের মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়াম জ্বালানির যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ।

ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অরবিন্দ সরকার সপ্তম চালান পৌঁছার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িবহর রূপপুরে এসে পৌঁছায়। এ জন্য কিছুক্ষণ পাবনা-কুষ্টিয়া মহাসড়কে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ রাখা হয়। গাড়িবহরটি রূপপুর প্রকল্পে পৌঁছালে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।

প্রকল্প–সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে নাটোর-কুষ্টিয়া-পাবনা মহাসড়ক দিয়ে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো রূপপুরে আসে। এ সময় মহাসড়কে সেনাবাহিনীসহ বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিশেষ নিরাপত্তাবলয় ছিল।
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পের সাইট ইনচার্জ রুহুল কুদ্দস প্রথম আলোকে বলেন, নির্ধারিত সময়েই রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্পটি চালু হবে। সে লক্ষ্যেই প্রকল্পের প্রথম ইউনিট চালুর জন্য ইউরেনিয়ামের সাতটি চালানের শেষ বা সপ্তম চালান প্রকল্পে পৌঁছাল।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষ আগামী বছর প্রথম ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে চায়। একই বছর বাণিজ্যিকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করার আশা করছে তারা।