উখিয়ায় মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের ‘সমন্বয়কারী’ গ্রেপ্তার

উখিয়া উপজেলার বালুখালী রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুলপালং আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি নুর কামাল প্রকাশ সমিউদ্দীনকে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আজ রোববার রাতে এ অভিযান চালানো হয়।

র‍্যাব বলছে, নুর কামাল মুহিবুল্লাহ হত্যাকাণ্ডের সমন্বয়কারী। তিনি মিয়ানমারে সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান স্যালভেশন আর্মির (আরসা) শীর্ষ নেতা।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র‌্যাবের একজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, নুর কামালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি (নুর কামাল) মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার পলাতক আসামি। তা ছাড়া নাইক্ষ্যংছড়ি তুমব্রু সীমান্তে গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডে সরাসরি অংশগ্রহণকারী। নুর কামালের বিষয়ে কাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে গণমাধ্যমকে বিস্তারিত জানানো হবে।

পুলিশ জানায়, ২০২১ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লাম্বাশিয়া আশ্রয়শিবিরের ডি ব্লকের আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহ। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন।

২০২২ সালের ১৩ জুন কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে দাখিল করা হয় ওই মামলার অভিযোগপত্র। তাতে বলা হয়, মুহিবুল্লাহ হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিলেন আরসা প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিসহ ৩৬ জন। কিন্তু ঠিকানা শনাক্ত না হওয়ায় আতাউল্লাহসহ আরসার সাতজন কমান্ডারকে অভিযোগপত্র থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। বর্তমানে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে অতিরিক্ত কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) ফরিদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, পুলিশ আরসা কমান্ডারকে গ্রেপ্তার করতে পারলে তখন সম্পূরক অভিযোগপত্রের মাধ্যমে মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলার আসামি অন্তর্ভুক্ত করা যাবে। ইতিমধ্যে কয়েকজনের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। মামলার মোট সাক্ষী ৩৮ জন। মামলার ১৪ জন আসামি কারাগারে আছেন।

পুলিশ জানায়, ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর তুমব্রু সীমান্তে মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে গিয়ে আরসা সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হন প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) কর্মকর্তা স্কোয়াড্রন লিডার রিজওয়ান রুশদী। এ ঘটনায় ওই বছরের ২৩ নভেম্বর নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় আরসার প্রধান কমান্ডার আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে (৪৮) প্রধান আসামি করে ৬৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়।