রাঙামাটিতে ইউপি চেয়ারম্যান হত্যায় আওয়ামী লীগ নেতাসহ আসামি ৮

বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতোমং মারমাছবি: সংগৃহীত

রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার দুর্গম বড়থলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতোমং মারমাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আটজনের নামোল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় আসামি করা হয়েছে অজ্ঞাতপরিচয় ১০-১২ জনকে।

আজ শুক্রবার রাত আটটার দিকে নিহত আতোমং মারমার বড় ভাই ক্যচিমং মারমা বিলাইছড়ি থানায় মামলাটি করেন। মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে বড়থলি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ওয়েভার ত্রিপুরাকে। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য।

পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, ২১ মে উপজেলার বড়থলি মারমাপাড়ায় চাচার বাড়িতে গিয়েছিলেন ইউপি চেয়ারম্যান আতোমং মারমা। সেখানে রাতে দুর্বৃত্তরা তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আতোমংকে প্রথমে বান্দরবানের রুমা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় ২২ মে দুপুরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় আতোমংকে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

বিলাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আখতার হোসেন প্রথম আলোকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ধরতে চেষ্টা করছে।