পিরোজপুরে হত্যা মামলার আসামিকে কুপিয়ে হত্যা

সোহাগ শেখছবি: প্রথম আলো

পিরোজপুর সদর উপজেলায় সোহাগ শেখ (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার ভৈরমপুর গ্রামের মাতুব্বর বাড়ির মসজিদের কাছে এই ঘটনা ঘটে।

নিহত সোহাগ শেখ সদর উপজেলার ভৈরমপুর গ্রামের সিদ্দিক শেখের ছেলে। তিনি একই গ্রামের শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার প্রধান আসামি ছিলেন।

স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৫ আগস্ট সোহাগ শেখের নেতৃত্বে শহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে জখম করা হয়। দুই মাস চিকিৎসার পর শহিদুল ইসলাম মারা যান। শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলায় আসামি সোহাগ শেখ দীর্ঘদিন কারাভোগ করে সাড়ে তিন মাস আগে জামিনে মুক্তি পান। জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর শহিদুল ইসলামের স্বজনেরা বিভিন্ন সময়ে সোহাগ শেখকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। গতকাল সোমবার রাত ১০টার দিকে সোহাগ শেখ ভৈরমপুর গ্রামের এস্কান্দারের চায়ের দোকান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে মাতুব্বর বাড়ির মসজিদের সমানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা লোকজন সোহাগ শেখ এলাপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত সোহাগ শেখের চাচাতো ভাই মো. নেয়ামুল নাসির বলেন, সোহাগ শেখের চিৎকার শুনে স্থানীয় সায়েম চৌধুরী দৌড়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে টর্চের আলোয় কয়েকজনকে কোপাতে দেখেন। এরপর তিনি সোহাগের বাড়িতে খবর দেন। লোকজন ঘটনাস্থলে যাওয়ার পর এনাম, সায়েম শেখ, কাইউমসহ কয়েকজন পালিয়ে যান। ঘটনাস্থলে সোহাগ মারা যান। ধারালো অস্ত্রের কোপে তাঁর বাঁ হাত আলাদা হয়ে যায়। ডান হাত, দুই পা ও শরীরে অসংখ্য কোপের জখম রয়েছে।

পিরোজপুর সদর উপজেলার কদমতলা ইউনিয়ন পরিষদের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজান হাওলাদার বলেন, নিহত সোহাগ শেখ মুদি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম হত্যা মামলার আসামি ছিলেন। শহিদুল হত্যার প্রতিশোধ নিতে সোহাগকে কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসিকুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।