গুপ্তধন ভেবে লুকিয়ে রাখা হয় পুকুরে পাওয়া মর্টার শেল, পরে উদ্ধার

নেত্রকোনার দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের নলোয়াপাড়া চায়নারমোড় এলাকা থেকে অবিস্ফোরিত মর্টার শেলটি উদ্ধার করে পুলিশ
ছবি: প্রথম আলো

নেত্রকোনার দুর্গাপুরে পুকুর খনন করতে গিয়ে একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল পাওয়া যায়। ভেকুচালক আজিজুল ইসলাম (৩৮) সেটি গুপ্তধন ভেবে লুকিয়ে রাখেন দাবি করে স্থানীয় লোকজন বলেন, বিষয়টি জানাজানি হলে আজ শনিবার বিকেলে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্যকে সব খুলে বলেন আজিজুল। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মর্টার শেলটি উদ্ধার করে।

দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের নলোয়াপাড়া চায়নারমোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আজ রাত পৌনে ১১টার দিকে নেত্রকোনা পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, মর্টার শেলটি উদ্ধারের বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তরে জানানো হয়েছে। আগামীকাল বোমা নিষ্ক্রিয়করণ দল আসার কথা রয়েছে।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দুদিন আগে নলোয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা নাজিম উদ্দিনের পুরাতন পুকুর খননযন্ত্র (ভেকু) দিয়ে খনন করা হয়। খননযন্ত্রের চালক ছিলেন ওই গ্রামের আজিজুল ইসলাম। খননের সময় একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল পান তিনি। গুপ্তধন ভেবে সেটি লুকিয়ে বাড়িতে নিয়ে যান আজিজুল। এরপর বেশ কয়েকবার সেটি কাটার উদ্যোগ নেন। কিন্তু প্রতিবেশীরা চলে আসায় ব্যর্থ হন।

শনিবার সকালে আজিজুল বাড়িতে না থাকায় তাঁর আট বছরের ছেলে মর্টার শেলটিকে বাইরে এনে দা দিয়ে আঘাত করতে থাকে। এ সময় প্রতিবেশী এক ব্যক্তি দেখে শিশুটিকে থামান। আজিজুল বাড়িতে এলে তাঁকে মর্টার শেলটি স্থানীয় বিজিবি ক্যাম্পে নিয়ে হস্তান্তর করতে বলেন তিনি। পরে দুপুরে আজিজুল স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল কুদ্দুসকে বিষয়টি খুলে বলেন। পরে ওই জনপ্রতিনিধি মুঠোফোনে দুর্গাপুর থানা পুলিশকে ঘটনাটি জানালে তারা সেটি উদ্ধার করে।

আবদুল কুদ্দুস মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তবে আজিজুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি। দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, অবিস্ফোরিত মর্টার শেলটি উদ্ধার করে নলুয়াপাড়া এলাকায় একটি মাঠে রাখা হয়েছে।