নওগাঁয় বিএনপির পদযাত্রায় হামলার অভিযোগ

নওগাঁ সদর উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়ন বিএনপির পদযাত্রা। আজ বেলা ১১টার দিকে উপজেলার ফতেপুর এলাকায়
ছবি: প্রথম আলো

নওগাঁ সদরে বিএনপি ঘোষিত ১০ দফা দাবিতে পদযাত্রা কর্মসূচিতে বাধা ও হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের পাঁচ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়নের দুর্গাপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

দলীয় নেতা-কর্মী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল ১০টা থেকে উপজেলার তিলকপুর ইউনিয়ন বিএনপির নেতা-কর্মীরা উপজেলার ফতেপুর বাজারে সমবেত হতে থাকেন। বেলা ১১টার দিকে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে ফতেপুর বাজার থেকে তিলকপুর ইউনিয়ন পরিষদ অভিমুখে পদযাত্রা বের হয়। পদযাত্রাটি ফতেপুর-তিলকপুর সড়ক হয়ে উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় পৌঁছালে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম আওয়াল ওরফে আতা ও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান ওরফে রিজভীর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বাধা দেন। বিএনপির নেতা-কর্মীরা বাধা উপেক্ষা করে সামনে যেতে চাইলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা তাঁদের ওপর হামলা করেন।

তিলকপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

এ সময় তিলকপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইয়াসিন আলী ওরফে নান্নু, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, যুবদল কর্মী লিপটন, সোহেল রানা ও চান মিয়া আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘কেন্দ্রঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা নিয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু আওয়ামী লীগের কর্মীরা কোনো প্রকার উসকানি ছাড়াই লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের ওপর হামলা করেন। এতে আমাদের দলের পাঁচজন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।’
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ডি এম আওয়াল বলেন, ‘বিএনপির পদযাত্রাকে ঘিরে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, সে জন্য পদযাত্রায় সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে আমাদের দলের ছেলেপেলেরা সহায়তা করছিল। কিন্তু বিএনপির উগ্র কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা করেন। হামলায় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজু হোসেন গুরুতর আহত হয়েছেন।’

নওগাঁ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফয়সাল বিন আহসান বলেন, তিলকপুর ইউনিয়নে কিছুটা উত্তেজনা হলেও পুরো উপজেলায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। তিলকপুরের ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।