উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে আড্ডার সময় রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী আশ্রয়শিবিরে এক রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে আশ্রয়শিবিরের একটি দোকানের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। বসতঘর ও দোকানের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত যুবকের নাম মনছুর আলম (৩০)। তিনি আশ্রয়শিবিরের ক্যাম্প-৮ ডব্লিউয়ের এ সাব–ব্লকের বাসিন্দা নাজির হোসেনের ছেলে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে আশ্রয়শিবিরের এক রোহিঙ্গা নেতা বলেন, রাতে আশ্রয়শিবিরের ব্লক ৪১–এর একটি দোকানের ভেতরে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন মনছুর আলম। এ সময় মুখোশ পরা সাত থেকে আটজন সশস্ত্র রোহিঙ্গার একটি দল দোকানে ঢুকে তাঁকে গুলি করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। হামলাকারীরা মিয়ানমারের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠীর সন্ত্রাসী বলে তিনি সন্দেহ করছেন।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী প্রথম আলোকে বলেন, মনছুর আলমের লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে আশ্রয়শিবিরে অভিযান চালানো হচ্ছে। বসতঘর ও দোকানের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়।
এর আগে গত সোমবার রাতে উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয়শিবিরে (ক্যাম্প-৬) সশস্ত্র গোষ্ঠীর গুলিতে নিহত হন বশির আহমদ (১৯) নামের এক রোহিঙ্গা মাদ্রাসাছাত্র। তিনি ওই আশ্রয়শিবিরের সি ৯ ব্লকের বাসিন্দা রহমত উল্লাহ ছেলে ছিলেন। পুলিশ ও রোহিঙ্গা নেতাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ছয় মাসে রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরে একাধিক সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ জন রোহিঙ্গা মাঝি, ১১ জন আরসা সদস্য, ১ জন স্বেচ্ছাসেবক ও অন্যরা সাধারণ রোহিঙ্গা।