আচরণবিধি লঙ্ঘন, পাবনা-৫ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থীকে তলব

পাবনা জেলার মানচিত্র

পাবনা-৫ (সদর) আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য গোলাম ফারুককে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি। নৌকার প্রতিকৃতি তৈরি করে আলোকসজ্জা ও বৈদ্যুতিক খুঁটিতে ফেস্টুন লাগানোয় তাঁকে এ চিঠি দেওয়া হয়।

গতকাল শুক্রবার নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটি পাবনা-৫ এ দায়িত্বপ্রাপ্ত পাবনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালের বিচারক (যুগ্ম জেলা জজ) মো. নাজমুল হোসেন এ চিঠি দিয়েছেন। আগামীকাল রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় এর লিখিত ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০ ও ২১ ডিসেম্বর বিকেল থেকে রাত পর্যন্ত জেলা শহরের লাইব্রেরি বাজার এলাকায়, ডিসি রোডে, মাছবাজারের সামনে অবস্থিত ভবনের দোতলায়, লাইব্রেরি বাজর থেকে জজ কোর্টগামী রাস্তার ডান পাশে, আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে এবং একই রাস্তায় আটুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে ইছামতী নদীর ওপর অবস্থিত সেতুর আগে প্রচারণার অংশ হিসেবে নির্বাচনী প্রতীক নৌকার প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

এ ছাড়া জজ কোর্ট থেকে পাবনা শহরগামী আবদুল হামিদ সড়কের উভয়পাশে প্রায় সব বৈদ্যুতিক খুঁটিতে এ প্রার্থীর ফেস্টুন লাগানো হয়েছে, যা সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণবিধিমালা, ২০০৮–এর ১০(গ) ও ৭ (১)–এর লঙ্ঘন।

চিঠিতে আরও বলা হয়, ২৪ ডিসেম্বর বেলা সাড়ে ১১টায় বিচারকের খাস কামরায় উপস্থিত হয়ে প্রার্থী নিজে নতুবা প্রতিনিধির মাধ্যমে লিখিত ব্যাখ্যা দেবেন। অন্যথায় তাঁর বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে তদন্ত প্রতিবেদন পাঠানো হবে।

গোলাম ফারুক চিঠি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘আমি নিজে আচরণবিধি লঙ্ঘনের কোনো কাজ করিনি। বিষয়টি আমার জানাও ছিল না। আওয়ামী লীগ বড় রাজনৈতিক দল। কোনো নেতা-কর্মী স্বপ্রণোদিত হয়ে কাজটি করতে পারেন। পরবর্তী সময়ে এমন না করতে নেতা-কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন অনুসন্ধান কমিটিকে যথাসময়ে লিখিত ব্যাখ্যা দেওয়া হবে।’