থানায় বসেও সালিস বৈঠকে মারামারি, দুই পক্ষ ভাঙচুর করল গোলঘর

সেনবাগ থানাছবি: সংগৃহীত

জমিসংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসা করতে দুই পক্ষ বেছে নিয়েছিল থানাকে। তবে বিরোধ নিষ্পত্তি তো হলোই না, উল্টো বিবদমান দুই পক্ষের মারামারিতে শেষ হয় সালিস বৈঠক। শুধু তা–ই নয়, বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের লোকজন থানার গোলঘরেও (থানা চত্বরের বৈঠকখানা) ভাঙচুর চালিয়েছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটার দিকে নোয়াখালীর সেনবাগ থানার গোলঘরে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে উভয় পক্ষের ছয়জনকে আটক করেছে।

জেলা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কেশারপাড় ইউনিয়নের উনদনিয়া গ্রামের একটি রাস্তার জায়গা নিয়ে বিবদমান দুই পক্ষকে নিয়ে আজ বিকেলে সেনবাগ থানার গোলঘরে সালিস বৈঠকে বসেন থানার একজন দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। বৈঠকে ‍উভয় পক্ষের পক্ষের সালিসদারেরাও উপস্থিত ছিলেন।

সূত্র জানায়, বিকেল আনুমানিক পাঁচটার দিকে সালিস বৈঠক চলাকালে দুই পক্ষের লোকজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। একপর্যায়ে এক পক্ষ অপর পক্ষের ওপর হামলা চালায়। এ সময় থানার গোলাঘরের কাচ ভাঙচুর করে তারা। তাৎক্ষণিকভাবে থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে উভয় পক্ষের ছয়জনকে আটক করে। তাঁদের থানার হাজতে রাখা হয়েছে বলে জানা গেছে।

সালিস বৈঠক চলাকালে দুইপক্ষের মারামারির পর ভাঙচুর করা হয় সেনবাগ থানার গোলঘরে
ছবি: সংগৃহীত

এ বিষয়ে জানার জন্য সেনবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম মিজানুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন ধরেননি। পরে জেলা পুলিশ সুপার আবদুল্লা আল ফারুক থানার গোলঘরের কাচ ভাঙচুর হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রথম আলোকে পুলিশ ‍সুপার বলেন, বাড়ির রাস্তা নিয়ে বিরোধ মীমাংসার জন্য দুই পক্ষকে নিয়ে থানার গোলঘরে সালিস বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল। বৈঠকের একপর্যায়ে দুই পক্ষের লোকজন বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান। তাঁদের ধাক্কাধাক্কিতে গোলঘরের কাচ ভেঙে যায়। এ ঘটনায় আটক ছয়জনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন বলে তিনি জানান।