মানিকগঞ্জে ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে জড়িতদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছে ভুক্তভোগীর পরিবার। আজ রোববারছবি: প্রথম আলো

চাঁদা দাবি করে না পেয়ে আবদুল মালেক (৩৪) নামের এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার, স্বজন ও এলাকাবাসী। আজ রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে স্বাধীনতা চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

প্রায় ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে এলাকাবাসীসহ তিন শতাধিক মানুষ অংশ নেন। বক্তারা আসামি খোকনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান। পরে সেখান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে জেলা শহরের সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন আইনজীবী আওলাদ হোসেন, আহত ব্যবসায়ীর বাবা মো. সাইজুদ্দিন, ভগ্নিপতি রকিবুল হাসান, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি আবদুল খালেক, সাবেক সভাপতি রেজাউল ইসলাম প্রমুখ।

এর আগে আহত ব্যবসায়ীর ভগ্নিপতি আইনজীবী রকিবুল হাসান চাঁদা দাবি ও ছুরিকাঘাতের অভিযোগে সদর থানায় মামলা করেন। ঘটনার দিনই পুলিশ আসামি আরিফুল ইসলাম ওরফে খোকনকে (৪২) গ্রেপ্তার করে। তাঁর বাড়ি সদর উপজেলার বাসুদেবপুর এলাকায়।

মামলার এজাহার ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মানিকগঞ্জ শহরের সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের মাঠের পূর্ব পাশে বেউথা সড়কে আবদুল মালেকের খাবারের হোটেল আছে। এ ছাড়া তাঁর চাল, এলপিজি গ্যাস ও শিশুদের খেলনার দোকান রয়েছে। তিনি জেলা জজ আদালতের শিক্ষানবিশ আইনজীবীও।

গত বুধবার বেলা তিনটার দিকে মালেক তাঁর হোটেলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় খোকনসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুজন তাঁর কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। মালেক অস্বীকার করলে তাঁকে ছুরিকাঘাত করা হয়। এরপর খোকন ও তাঁর সহযোগীরা পালিয়ে যান।

গুরুতর আহত অবস্থায় মালেককে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাঁকে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে তিনি আইসিইউতে আছেন।

এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আমান উল্লাহ বলেন, ঘটনার দিনই আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরদিন আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।