সিলেটের খুন হওয়া সেই তরুণ ছাত্রলীগের ‘সক্রিয় কর্মী’, থানায় মামলা
সিলেট মহানগরের শাহী ঈদগাহের দলদলি চা-বাগান এলাকায় ছুরিকাঘাতে খুন হওয়া তুষার আহমদ চৌধুরী (২০) ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁর বিভিন্ন পোস্ট বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পেয়েছে তারা। এদিকে এ ঘটনায় তুষারের বাবা মহানগরের বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। এ মামলায় পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, তুষার ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। তাঁর বুকের বাঁ পাশে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন ছিল। পুলিশ জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালিয়েছে। এ ছাড়া কী কারণে তুষার খুন হলেন, সেটাও পুলিশ জানার চেষ্টা করছে।
অতিরিক্ত উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইফুল আরও জানান, এ ঘটনায় তুষারের বাবা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছেন। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ছয়–সাতজনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় পুলিশ মো. জাবেদ (২৫) ও তানভীর আহম্মদ (২৫) নামের দুই তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত আটটার দিকে স্থানীয় দুটি পক্ষের উত্তেজনার জেরে তুষারকে ছুরিকাঘাত করা হয়। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই তরুণের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ময়নাতদন্ত শেষে আজ বুধবার বিকেলে নিহত তরুণের মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এরপর তুষারের মরদেহ তাঁর রায়নগর এলাকার বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। নিহত তুষার রায়নগর এলাকার বাসিন্দা আইনজীবী সাজেদ আহমদ চৌধুরীর ছেলে। তিনি মদনমোহন কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।