পিরোজপুরে শৌচাগারে পড়ে ছিল গৃহবধূর লাশ, পরিবারের দাবি হত্যা

লাশ
প্রতীকী ছবি

পিরোজপুরে শৌচাগারে গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় গৃহবধূর লাশ পড়ে ছিল। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ১০টার দিকে পিরোজপুর পৌরসভার উত্তর শিকারপুর মহল্লার একটি বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরিবারের দাবি, তাঁকে হত্যা করা হয়েছে।

লাশ উদ্ধার হওয়া গৃহবধূর নাম হাসি রানী ঘরামী (৫৫)। তিনি উত্তর শিকারপুর মহল্লার সত্যেন্দ্র নাথ ঘরামীর স্ত্রী।

সত্যেন্দ্র নাথ ঘরামী বলেন, তাঁর স্ত্রীর গলায় কাপড় প্যাঁচানো অবস্থায় লাশ শৌচাগারের মেজেতে পড়ে ছিল। কিন্তু তাঁর কানের স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়নি। এতে মনে হচ্ছে, চুরির করতে এসে দুর্বৃত্তরা তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছে। তিনি আরও বলেন, ঘরের সামনের দরজা সব সময় ভেতর থেকে বন্ধ রাখা হয়। তিনি বাড়িতে গিয়ে দরজায় শব্দ করার পর তাঁর স্ত্রী সব সময় দরজা খুলতেন। ধারণা করা হচ্ছে, পরিচিত কেউ বাড়িতে আসায় তাঁর স্ত্রী দরজা খুলে দেন। এরপর তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গতকাল সন্ধ্যায় হাসি রানী ঘরামী ঘরে একা ছিলেন। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে গৃহকর্মী নমিতা রানী বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান ঘরের সামনের দরজা খোলা। এ সময় নমিতা রানী ঘরে ঢুকে হাসি রানী ঘরামীকে না পেয়ে খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে শৌচাগারের দরজা খুলে হাসি রানী ঘরামীকে গলায় শাড়ি প্যাঁচানো অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। এ সময় নমিতা রানীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। পরে খবর পেয়ে পুলিশ এসে রাত ১০টার দিকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।

পিরোজপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবির মোহাম্মদ হোসেন বলেন, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। আজ শুক্রবার সকালে লাশের ময়নাতদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়েছে পিরোজপুর সদর হাসপাতালের মর্গে। এ ঘটনায় তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।