নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে তথ্য কর্মকর্তা নিহত

প্রকাশ চন্দ্র রায়
ছবি: সংগৃহীত

নীলফামারীতে ট্রেনে কাটা পড়ে জেলার সহকারী তথ্য কর্মকর্তা প্রকাশ চন্দ্র রায় (৫৬) নিহত হয়েছেন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে শহরের সরকারপাড়া এলাকায় চিলাহাটি-সৈয়দপুর রেলপথে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত প্রকাশ চন্দ্র রায় শহরের উত্তর হারোয়া দেবিরডাঙ্গা গ্রামের মৃত লাল মোহন বর্মণের ছেলে। তিনি জেলা তথ্য কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী থেকে পদোন্নতি পেয়ে সহকারী তথ্য কর্মকর্তা হন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন জানান, সকাল সাড়ে ছয়টার দিকে রেলপথ দিয়ে হাঁটছিলেন (প্রাতর্ভ্রমণ) প্রকাশ চন্দ্র রায়। এ সময় চিলাহাটি থেকে আসা রাজশাহীগামী ‘বরেন্দ্র এক্সপ্রেস’ ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন।

নিহতের বড় ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ধরণী বর্মণ বলেন, প্রায় পাঁচ বছর আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণজনিত রোগে (স্ট্রোক) আক্রান্ত হন প্রকাশ। এর পর থেকে মানসিক ও কিডনি রোগে ভুগছিলেন তিনি। চিকিৎসার জন্য কার্যালয় থেকে তিন দিনের ছুটিও নিয়েছিলেন। আজ সন্ধ্যায় তাঁর ঢাকায় যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সকালে হাঁটতে বেরিয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে তিনি নিহত হন।

তিনি বলেন, ‘প্রকাশ সাধারণত বাড়ি থেকে এক কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে হাঁটত। গতকাল শুক্রবার বাড়ি থেকে প্রায় আড়াই কিলোমিটার দূরের রেললাইন পর্যন্ত গিয়ে ফিরে আসে। আজ রেললাইন পর্যন্ত গিয়েছিল। পরে লোকমুখে তার নিহতের খবর পাই।’

সৈয়দপুর রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, রাজশাহীগামী ‘বরেন্দ্র এক্সপ্রেস’ ট্রেনে কাটা পড়ে ওই ব্যক্তি ঘটনাস্থলে নিহত হন। তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। পরে দুপুরে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।

নীলফামারী পৌরসভার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর রত্না রায় বলেন, ‘প্রকাশ চন্দ্র সম্পর্কে আমার কাকা। ঘটনাটি আমার বাড়ির কাছে ঘটেছে। সকালে ট্রেনে কাটা পড়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি তাঁর লাশ দেখতে পাই।’

নিহতের স্বজনেরা জানান, শনিবার বিকেলে উত্তর হারোয়া দেবিরডাঙ্গা গ্রামে পারিবারিক শ্মশানে প্রকাশ চন্দ্র রায়ের দাহ সম্পন্ন হয়। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন।