নোয়াখালীতে গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন গরুচোর নিহত

লাশ
প্রতীকী ছবি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় গণপিটুনিতে সন্দেহভাজন এক গরুচোর নিহত হয়েছে। স্থানীয় লোকজনের দাবি, গরু চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় আটক করে ওই ব্যক্তিকে মারধর করা হয়। আজ বুধবার ভোররাত পৌনে চারটার দিকে উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের মুক্তিযোদ্ধা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় উত্তেজিত জনতা চোর দলের ব্যবহৃত একটি লেগুনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। পরে কোম্পানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে নেন।পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তির নাম মোশারফ হোসেন ওরফে রিপন (৪৫)। তিনি ফেনীর দাগনভূঞা উপজেলার রামনগর গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। ঘটনাস্থল থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানায় নেওয়া হয়েছে। পরে লাশের ময়নাতদন্তের জন্য আজ সকালে নোয়াখালীর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত সাড়ে তিনটার দিকে চরফকিরা ইউনিয়নের অর্জুনতলা গ্রামের জাকির হোসেনের গোয়ালঘর থেকে চারটি বাছুর এবং নুর উদ্দিনের গোয়ালঘর থেকে চারটি বাছুর চুরির ঘটনা ঘটে। আটটি বাছুর লেগুনায় করে নিয়ে যাওয়ার সময় মালিকেরা টের পান। গরুর মালিকদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের ভাষ্য, তাঁরা আশপাশের এলাকায় ফোন করে ঘটনা জানালে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা বাজারে একটি ট্রাক্টর দিয়ে সড়কে ব্যারিকেড দেওয়া হয়। পরে ভোররাত চারটার দিকে সন্দেহভাজন চারজন গরু চোর, চুরি করা আটটি গরু ও লেগুনাটি জব্দ করা হয়। এ সময় তিনজন পালিয়ে যায়। একজন জনতার হাতে ধরা পড়ে। এ সময় উত্তেজিত জনতা তাকে পিটুনি দেয়। ঘটনাস্থলে তাঁর মৃত্যু হয়।

পুলিশ জানায়, ঘটনার পর উত্তেজিত জনতা লেগুনায় আগুন ধরিয়ে দেয়। কোম্পানীগঞ্জের ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা গিয়ে লেগুনার আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুনে লেগুনাটির কিছু অংশ পুড়ে যায়।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গরু চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত জনতার হাতে আটক সন্দেহভাজন এক গরুচোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।