হঠাৎ করেই সিলেটে বন্যা এল। ২০২২ সালের মতো ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা কি আছে?
দীপক রঞ্জন দাশ: বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টিপাতের ওপর। যদি আগামী কয়েক দিন বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে আশা করা যায় পানি দ্রুত নেমে যাবে।
আজকের বন্যা পরিস্থিতি কেমন? জেলার নদ-নদীর কতটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে?
দীপক রঞ্জন দাশ: সুরমা নদীতে বিপৎসীমার প্রায় এক মিটার ও কুশিয়ারা নদীতে বিপৎসীমার দুই মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা আছে?
দীপক রঞ্জন দাশ: যদি নতুন করে বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে এই বন্যার পানি আশা করছি ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই নেমে যাবে।
জকিগঞ্জ উপজেলার মানুষ অভিযোগ করছেন, ওই উপজেলায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর কয়েকটি ডাইক (নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ) ভেঙে ও উপচে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাঁদের ভাষ্য, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে বাঁধ মেরামত করলে এমন সমস্যায় পড়তে হতো না। এ বিষয়ে কী বলবেন?
দীপক রঞ্জন দাশ: কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার প্রায় দুই মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। মূলত এখানে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করছে।
সিলেটে ২০২২ সালে প্রলয়ংকরী বন্যার পর এখানকার নদীগুলো নাব্যতা হারিয়েছে বলে লোকজন অভিযোগ করেছিলেন। এ অবস্থায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদী খননের দাবিও উঠেছিল। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে?
দীপক রঞ্জন দাশ: ২০২২ সালের বন্যা–পরবর্তী সময়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ড্রেজিং, বেড়িবাঁধ ও স্থায়ী সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের বিস্তারিত স্টাডি হয়েছে। শিগগিরই সুরমা ও কুশিয়ারা নিয়ে প্রকল্প প্রস্তুত করা হবে।
আপনাকে ধন্যবাদ।
দীপক রঞ্জন দাশ: আপনাকেও ধন্যবাদ।