পাউবো কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার

সুরমা ও কুশিয়ারা নদীতে স্থায়ী সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের স্টাডি হয়েছে

ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে সিলেটে ২৯ মে থেকে বন্যা দেখা দিয়েছে। জেলা প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত ৭টি উপজেলার ৪২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়েছে। এতে বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছেন ৫ লাখ ৩৩ হাজার ২০২ জন বাসিন্দা। জেলার ১৩টি উপজেলায় ৫৪৭টি আশ্রয়কেন্দ্র চালু হয়েছে। ৪ হাজার ৮০২ জন আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নিয়েছেন। বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম আলো কথা বলেছে সিলেটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশের সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন সুমনকুমার দাশ

প্রথম আলো:

হঠাৎ করেই সিলেটে বন্যা এল। ২০২২ সালের মতো ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা কি আছে?

দীপক রঞ্জন দাশ: বিষয়টি সম্পূর্ণ নির্ভর করছে ভারতের মেঘালয় রাজ্যে বৃষ্টিপাতের ওপর। যদি আগামী কয়েক দিন বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে আশা করা যায় পানি দ্রুত নেমে যাবে।

প্রথম আলো:

আজকের বন্যা পরিস্থিতি কেমন? জেলার নদ-নদীর কতটি পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে?

দীপক রঞ্জন দাশ: সুরমা নদীতে বিপৎসীমার প্রায় এক মিটার ও কুশিয়ারা নদীতে বিপৎসীমার দুই মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রথম আলো:

বন্যা দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার আশঙ্কা আছে?

দীপক রঞ্জন দাশ: যদি নতুন করে বৃষ্টিপাত না হয়, তাহলে এই বন্যার পানি আশা করছি ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই নেমে যাবে।

প্রথম আলো:

জকিগঞ্জ উপজেলার মানুষ অভিযোগ করছেন, ওই উপজেলায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর কয়েকটি ডাইক (নদী প্রতিরক্ষা বাঁধ) ভেঙে ও উপচে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। তাঁদের ভাষ্য, বর্ষা মৌসুম শুরুর আগে বাঁধ মেরামত করলে এমন সমস্যায় পড়তে হতো না। এ বিষয়ে কী বলবেন?

দীপক রঞ্জন দাশ: কুশিয়ারা নদীর পানি বিপৎসীমার প্রায় দুই মিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। মূলত এখানে বাঁধ উপচে পানি প্রবেশ করছে।

প্রথম আলো:

সিলেটে ২০২২ সালে প্রলয়ংকরী বন্যার পর এখানকার নদীগুলো নাব্যতা হারিয়েছে বলে লোকজন অভিযোগ করেছিলেন। এ অবস্থায় সুরমা ও কুশিয়ারা নদী খননের দাবিও উঠেছিল। ওই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আপনাদের কোনো পরিকল্পনা আছে?

দীপক রঞ্জন দাশ: ২০২২ সালের বন্যা–পরবর্তী সময়ে সুরমা ও কুশিয়ারা নদীর ড্রেজিং, বেড়িবাঁধ ও স্থায়ী সুরক্ষা বাঁধ নির্মাণকাজের বিস্তারিত স্টাডি হয়েছে। শিগগিরই সুরমা ও কুশিয়ারা নিয়ে প্রকল্প প্রস্তুত করা হবে।

প্রথম আলো:

আপনাকে ধন্যবাদ।

দীপক রঞ্জন দাশ: আপনাকেও ধন্যবাদ।