উধাও হওয়া ১৮ লাখ টাকা গ্রাহককে ফেরত দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ

গাজীপুর জেলার মানচিত্র

গাজীপুরে উত্তরা ব্যাংকের একটি শাখায় প্রবাসীর ব্যাংক হিসাব থেকে উধাও হওয়া ১৮ লাখ টাকা ফেরত দিয়েছে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার ওই গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবের বিবরণী সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।

প্রবাসীর ভাই জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি নিয়ে খবর প্রচারিত হলে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ টাকা উধাও হওয়ার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত শুরু করে। পরে তারা ওই হিসাব নম্বরে ২ দফায় ৮ এবং ১০ লাখ টাকা জমা করে। আজ সকালে গ্রাহকের কাছে পাঠানো হয় এই স্টেটমেন্ট। যেখানে ২ দফায় ১৮ লাখ টাকা ফেরতের তথ্য মিলে। এদিকে কাতারপ্রবাসী ভাইয়ের কষ্টার্জিত অর্থ ফেরত পেয়ে খুশি তাঁরা। গ্রাহকের স্বজনেরা বলেন, উত্তরা ব্যাংকের জয়দেবপুর শাখা থেকে টাকা স্থানান্তরের সঙ্গে কারা জড়িত, তাঁদের চিহ্নিতসহ বিচার হওয়া উচিত।

এ বিষয়ে কাতার থেকে মুঠোফোনে মো. শাহজাহান মোল্লা জানান, তিনি ১৯৯৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর গাজীপুরের উত্তরা ব্যাংকের চান্দনা চৌরাস্তা অবস্থিত জয়দেবপুর শাখায় একটি সঞ্চয়ী হিসাব খুলেন। ১৪ আগস্ট তিনি ব্যাংকে খবর নিয়ে জানতে পারেন তাঁর ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে। পরে তাঁর ভাই জাহাঙ্গীর আলমের মাধ্যমে তাঁর ব্যাংক হিসাবের বিবরণী ঘেঁটে তিনি দেখতে পান ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের মাধ্যমে ১৪ আগস্ট তাঁর হিসাব থেকে প্রথমে আট লাখ টাকা সরানো হয় সিটি ব্যাংকের সাতক্ষীরা শাখার মেঘনা এন্টারপ্রাইজের ব্যাংক হিসাবে। একইভাবে আরও ১০ লাখ টাকা পাঠানো হয় জয়পাড়া এসএমই শাখায় সুমাইয়া নামের এক গ্রাহকের ব্যাংক হিসাবে। এ ঘটনায় তাঁর (প্রবাসী) ভাই জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বাদী হয়ে বাসন থানায় মামলা করেন।

এ বিষয়ে ওই প্রবাসীর ভাই জাহাঙ্গীর আলম মোল্লা বলেন, তাঁর ভাইয়ের ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা উধাও হওয়ার সঙ্গে ব্যাংকের ব্যবস্থাপকসহ কয়েকজন জড়িত আছেন বলে তাঁর ধারণা। দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি হওয়া উচিত। পাশাপাশি আরও নজরদারি বাড়ানো প্রয়োজন।

জানতে চাইলে উত্তরা ব্যাংকের ওই শাখা ব্যবস্থাপক স্কাইল্যাব চৌধুরী বলেন, ‘চলে যাওয়া টাকা ফেরত এখন আনা সম্ভব হয়নি। তবে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি টাকা কোথায় কীভাবে গিয়েছে। ওই টাকা উদ্ধারে সময় লাগবে কিন্তু গ্রাহকের টাকা জরুরি প্রয়োজন। তাই আমাদের নিজস্ব ফান্ড থেকে গ্রাহককে টাকা ফেরত দেওয়া হয়েছে।’ তবে গ্রাহকের ভাইয়ের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। তাঁকে খুদে বার্তা পাঠালেও তিনি এর কোনো জবাব দেননি।

এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের সহকারী কমিশনার (ডিবি-মিডিয়া) আবু নাঈম নয়ন বলেন, ‘উধাও হওয়া টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি আমরাও জানতে পেরেছি।’