তিন গাড়িকে ধাক্কা এক গাড়ির, পথচারী নিহত

সড়ক দুর্ঘটনা
প্রতীকী ছবি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে দ্রুতগতির একটি প্রাইভেট কার উল্টে আরও তিনটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দিয়েছে। এতে ছয়জন পথচারী আহত হন। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক এক কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে সোনাইছড়ি ইউনিয়নের বার আউলিয়া দরগাহ এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোরের নাম শাহাদাত হোসেন (১৩)। সে ফুলতলা গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে।

বার আউলিয়া এলাকার প্রত্যক্ষদর্শী কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত ৮টার দিকে তিনি বার আউলিয়া দরগাহ এলাকায় ছিলেন। এ সময় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকামুখী লেনে বেপরোয়া গতিতে আসা একটি প্রাইভেট কারের চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে গাড়িটি প্রথমে সড়কের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা অপর একটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। কিন্তু গতি এত বেশি ছিল যে ধাক্কা দেওয়া প্রাইভেট কারটি একাধিকবার উল্টেপাল্টে দাঁড়িয়ে থাকা আরও দুটি প্রাইভেট কারকে ধাক্কা দেয়। এর মধ্যে ছয়জন পথচারীকে চাপা দেয়।

আশপাশের লোকজন আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কিশোর শাহাদাত মারা যায়। এ দুর্ঘটনায় শাহাদাতের চাচাতো ভাইসহ আরও পাঁচজন একই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

প্রাইভেট কারের চালককে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। তাঁদের বরাতে জানা গেছে, প্রাইভেট কারের চালকের নাম সানুঅং মারমা। তিনি রাঙামাটি থেকে ঢাকা যাচ্ছিলেন। রাস্তা ফাঁকা থাকায় বেশি গতিতে চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন চালক।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের লিডার মো. জোবায়ের প্রথম আলোকে বলেন, দুর্ঘটনার খবরে তাঁরা ঘটনাস্থলে গিয়ে হতাহত কাউকে পাননি।

বার আউলিয়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোকন চন্দ্র ঘোষ প্রথম আলোকে বলেন, বার আউলিয়ায় এক কিশোর নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। এ ঘটনায় চালককে আটক করা হয়েছে। দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি চারটিকে হাইওয়ে থানায় নেওয়া হয়েছে।

এদিকে এ দুর্ঘটনার আধা ঘণ্টার মাথায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে বানুরবাজার এলাকায় একমুখী লেনে একটি প্রাইভেট কারের ধাক্কায় এক নারী পথচারী নিহত হয়েছেন। তাঁর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাঁর নাম-পরিচয় জানা যায়নি। বিস্তারিত ঘটনাও জানা যায়নি।