নতুন বাজেটে মানুষের কোনো পরিবর্তন হবে না: মাহমুদুর রহমান

ময়মনসিংহে বিভাগীয় মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। শুক্রবার নগরের মুসলিম ইনস্টিটিউট হলরুমে

ময়মনসিংহে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এই সরকার দেশ চালাতে পারবে না। বিভিন্ন দেশের কাছে সরকার ১০০ বিলিয়ন ডলার ঋণগ্রস্ত। টাকা ফেরত চেয়ে দেশগুলো চাপ দিচ্ছে, কিন্তু সরকারের কাছে টাকা নেই। নতুন বাজেটে মানুষের কোনো পরিবর্তন হবে না।

ময়মনসিংহে শুক্রবার বিকেলে গণতন্ত্র মঞ্চের আয়োজনে নগরের মুসলিম ইনস্টিটিউট হলরুমে এক বিভাগীয় সম্মেলন হয়েছে। ওই সম্মেলনে বাজেটসহ নানা বিষয় নিয়ে বক্তব্য দেন মাহমুদুর রহমান মান্না। সভায় নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, ভাসানী অনুসারী পরিষদ, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন—এ ছয়টি দলের নেতারা অংশ নেন। এতে সভাপতিত্ব করেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মাহবুবে আলম।

মাহমুদুর রহমান আরও বলেন, ‘তথাকথিত নির্বাচন আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করেনি; বরং আরও দুর্বল করেছে।...মানুষ ভোট বর্জন করেছে, এটি আমাদের বিজয়। আমরা চূড়ান্ত লড়াই পর্যন্ত আছি। আমরা একটি কল্যাণরাষ্ট্র করতে চাই। সংবিধান পরিবর্তিত হবে, আইন পাল্টানো হবে, মানুষের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। এই দুঃশাসনকে ঘাড় থেকে নামাতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করতে হবে। আমরা এই দেশ, জনগণের ভাগ্য, অর্থনীতি—সব বদলে দেব।’

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ৩০ লাখ টাকার বেশি আয় করলে পুরো টাকার ৩০ শতাংশ এবং তার ওপর ১৫ শতাংশ সারচার্জ দিতে হবে। আর কালোটাকা ১৫ শতাংশ কর দিলে বৈধ হয়ে যাবে। এটি একটি ‘বে–নজির বাজেট’। এই বাজেট সম্পদ লুণ্ঠণকারীদের রক্ষা করার বাজেট। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৩ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে। সরকার ঠিকঠাকমতো পণ্য আমদানির জন্য ঋণপত্র খুলতে দিতে পারছে না। ছোট-মাঝারি শিল্পগুলো চাপের মধ্যে পড়ছে।

সাকি আরও বলেন, এই সরকার হচ্ছে শ্রমিক, মজুর, মেহনতি মানুষের রক্ত শুষে নেওয়ার সরকার। মানুষের ভোট কেড়ে নেওয়ার সরকার। নাগরিকদের নিরাপত্তা ও পুরো দেশের নিরাপত্তা কোথায়, তা উপলব্ধি করতে হবে। এই সরকার কাদের সরকার, তা পরিষ্কার হয়ে গেছে। প্রতিটি থানায়, ইউনিয়নে গণতন্ত্র মঞ্চ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মঞ্চের ছয়টি দলের প্রতিটিকে সংগঠিত করতে হবে। নিজেদের মধ্যে দৃঢ় ঐক্য গড়ে তুলতে হবে। কারণ, মঞ্চ এবার তুমুল লড়াই শুরু করেছে।

সভায় আরও বক্তব্য দেন ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ রফিকুল ইসলাম, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদ সদস্য মীর মোফাজ্জল হোসেন।