মেঘনায় নৌকা নিয়ে মাছ ধরছিলেন পাঁচজন, বজ্রপাতে প্রাণ গেল দুজনের

বজ্রপাত
প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর মেঘনা নদীতে বজ্রপাতের সময় নদীতে পড়ে নিখোঁজ সুমন দাস (২৫) নামের এক জেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার ১৮ ঘণ্টা পর আজ মঙ্গলবার সকাল আটটার দিকে লাশটি নদীতে ভেসে উঠলে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দলের সদস্যরা সেটি উদ্ধার করেন।

গতকাল সোমবার বেলা দুইটার দিকে মেঘনা নদীর হাজীপুর অংশে নৌকায় করে পাঁচ জেলে মাছ ধরার সময় বজ্রপাত হয়। এই ঘটনায় মিকুঞ্জ দাস (৪৫) নামের এক জেলের মৃত্যু হয়। আহত হন সঙ্গে থাকা আরও তিন জেলে। ওই সময় নিখোঁজ হন সুমন দাস।

সুমন নরসিংদী সদর উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের নয়াপাড়া এলাকার ধিরাই চন্দ্র দাসের ছেলে। অন্যদিকে গতকাল নিহত হওয়া মিকুঞ্জ দাস একই এলাকার মৃত মতিলাল দাসের ছেলে।

নিহত ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা ও স্থানীয় লোকজন জানান, হাজীপুরের নয়াপাড়া এলাকার সুমন ও মিকুঞ্জসহ পাঁচ জেলে গতকাল সকালে মেঘনা নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন। দুপুরে প্রচণ্ড বৃষ্টি শুরু হলে তাঁরা নৌকাটি একটি বাঁশের খুঁটিতে বেঁধে নৌকার ভেতরে অবস্থান নেন।

বেলা দুইটার দিকে বজ্রপাত হয়। এ সময় নৌকা থেকে নদীতে পড়ে গিয়ে জেলে সুমন দাস নিখোঁজ হন। আহত চারজনকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতালটির জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মিকুঞ্জ দাসকে মৃত ঘোষণা করেন।

নরসিংদী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রায়হান বলেন, সুমন দাসকে উদ্ধারের জন্য ডুবুরি দলকে খবর দেওয়া হলে তাঁরা রাত পর্যন্ত চেষ্টা চালিয়ে তাঁর খোঁজ পাননি। পরে আজ সকালে পুনরায় ডুবুরি দল কাজ শুরু করতে গেলে নদীতে ভাসমান অবস্থায় সুমন দাসের লাশ দেখতে পান তাঁরা। পরে তাঁর লাশ উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।

নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, মাছ ধরার সময় বজ্রপাতের ঘটনায় এ নিয়ে দুজন জেলের মৃত্যু হলো। নিহত সুমন দাসের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।