আ.লীগের ৫ নেতা প্রার্থী, স্বস্তিতে জাতীয় পার্টি

ক্ষমতাসীন দলের পাঁচজন নেতা প্রার্থী হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন তাঁরা।

রংপুর জেলার মানচিত্র

রংপুরের সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের পাঁচজন নেতা প্রার্থী হওয়ায় দলটির নেতা-কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। নির্বাচনে দলটির মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হবে। এমন পরিস্থিতিতে লাঙ্গল প্রতীকে জাতীয় পার্টির একক প্রার্থী থাকায় অনেকটা স্বস্তিতে আছেন তাঁরা।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগের যাঁরা প্রার্থী হয়েছেন, তাঁরা হলেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন (হেলিকপ্টার); সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও জেলা কমিটির সদস্য ফিরোজ কবির চৌধুরী (দোয়াত কলম); জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক কৃষিবিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য জাহাঙ্গীর আলম (টেলিফোন); জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আমিনুর রহমান (ঘোড়া) ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম সাব্বির আহমেদ (কাপ পিরিচ)।

নানা কারণে দলের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হলেও আবার নতুন করে চাঙা হয়ে উঠেছে। এবার এখানে আমাদের প্রার্থী জয়ের মালা পড়বেন ইনশা আল্লাহ।
আবদুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক, রংপুর জেলা জাতীয় পার্টি

মহানগর আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক চেয়ারম্যান প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন বলেন, যেহেতু আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নেই। তার ওপর দলের একাধিক প্রার্থী হতে কোনো বাধাও নেই। নির্বাচনে দলীয় কর্মীরা যাঁকে পছন্দ করবেন, তাঁর পক্ষেই ভোট করতে পারবেন, এটি নিয়ে কোনো বিরোধ নেই। তবে নির্বাচন নিয়ে কর্মীরা বিভক্ত হলেও দলের মধ্যে কোনো বিভেদ করা যাবে না। শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তবে ক্ষমতাসীন দলের পাঁচজন নেতা প্রার্থী হওয়ায় নেতা-কর্মীদের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা দিয়েছে। দ্বিধাদ্বন্দ্বে পড়েছেন তাঁরা। কেউ কেউ নিশ্চুপ। প্রকাশ্যে খুব একটা কিছু বলতে চাচ্ছেন না তৃণমূলের অনেকেই।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষ নেতা জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময় সংগঠনের কার্যক্রমে একসঙ্গে কাজ করা হলেও এবারের নির্বাচনে অনেকেই প্রকাশ্যে কাজ করতে চাইছেন না। তবে ভেতরে ভেতরে কোনো না কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছেন। আপাতত দৃষ্টিতে দলের কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছেন।

অন্যদিকে জাতীয় পার্টির লাঙ্গল প্রতীকে একমাত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মাসুদ নবী। উপজেলাটিতে সর্বোচ্চ শক্তি নিয়ে মাঠে নেমেছেন দলটির নেতা-কর্মীরা। রংপুর সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদেরের সংসদীয় এলাকা। নিজেদের প্রার্থীকে জয়ী করতে মরিয়া সবাই।

জাতীয় পার্টি জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুর রাজ্জাক বলেন, ‘নানা কারণে দলের সাংগঠনিক অবস্থা দুর্বল হলেও আবার নতুন করে চাঙা হয়ে উঠেছে। এবার এখানে আমাদের প্রার্থী জয়ের মালা পড়বেন ইনশা আল্লাহ।’

জয় নিয়ে আত্মবিশ্বাসী লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী মাসুদ নবীও। তিনি বলেন, ‘আশা করছি, জনগণ জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন।’

রংপুর সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের পাঁচ নেতা, জাতীয় পার্টির একজন ছাড়া আরও দুজন হলেন ইকবাল হোসেন (আনারস) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল কাউয়ুম (মোটরসাইকেল)। ভোটার টানতে নিজেদের মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তাঁরাও।