মহেশখালীতে গুলি করে ও কুপিয়ে লবণচাষিকে হত্যা

কক্সবাজার জেলার মানচিত্র

চিংড়িঘের দখলকে করে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে সাইফুল ইসলাম (৩৩) নামের এক লবণচাষিকে হত্যা করা হয়। আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়ার পশ্চিম পাড়া বড়ঘোনা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সংঘর্ষে তিনজন গুলিবিদ্ধ ও অন্তত সাতজন আহত হন। আহত ব্যক্তিদের মহেশখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত সাইফুল ইসলাম বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মুন্সির ডেইল এলাকার গোলাম কুদ্দুসের ছেলে। খবর পেয়ে মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুকান্ত চক্রবর্তীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সোনাদিয়া দ্বীপে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে আটক করে। এ ছাড়া অস্ত্রসহ মোহাম্মদ রাকিব নামের একজনকে স্থানীয় এলাকাবাসী আটক পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।

মহেশখালী থানা–পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের সোনাদিয়ার পশ্চিম পাড়া বড়ঘোনা এলাকায় চিংড়িঘের দখল নিয়ে এ সংঘর্ষ হয়। দীর্ঘদিন ধরে এ চিংড়িঘের নিয়ে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের জাগিরাঘোনা এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের সঙ্গে সোনাদিয়া দ্বীপের পশ্চিম পাড়ার আজিম মিয়ার বিরোধ চলছিল। ওই চিংড়িঘের এত দিন জাহাঙ্গীর আলমের দখলে ছিল। আজ সকালে আজিম মিয়া তাঁর দলবল নিয়ে চিংড়িঘের দখল করতে গেলে প্রতিপক্ষ জাহাঙ্গীর আলমের লোকজন বাধা দেন। এতে দুই পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হন। এ ছাড়া আহত হন অন্তত সাতজন। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষের লোকজন গুলি করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জাহাঙ্গীর আলমের নিয়োজিত লবণচাষি সাইফুল ইসলামকে হত্যা করেন।

জানতে চাইলে মহেশখালী থানার ওসি সুকান্ত চক্রবর্তী বলেন, দুই পক্ষের গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনায় এক লবণচাষি নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন। তাঁরা বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে আটক করেছে। এ সময় এলাকাবাসী অস্ত্রসহ মোহাম্মদ রাকিব নামের এক যুবককে পুলিশের হাতে সোপর্দ করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের ধরার জন্য পুলিশ নানাভাবে চেষ্টা করছে।