লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম ওরফে জহির হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় ‘আউট’ লিখে ক্রিকেট খেলার ভিডিও পোস্ট করা ছাত্রদল কর্মী কাউছার মানিক ওরফে ছোট কাউছারসহ ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে নিহত ব্যক্তির দ্বিতীয় স্ত্রী আইরিন আক্তার বাদী হয়ে এ মামলা করেন।
পুলিশ জানায়, চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ উপজেলার পশ্চিম লতিফপুর এলাকা থেকে কাউছার মানিকের তিন সহযোগী হুমায়ূন কবির সেলিম (৫০), ইমন হোসেন (২১), আলমগীর হোসেনকে (৪০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাঁদের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
হত্যাকাণ্ডের আধা ঘণ্টা পর কাউছার তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে ‘আউট’ লিখে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকসহ একটি ক্রিকেট খেলার ভিডিও পোস্ট করেন। এই পোস্টকে কেন্দ্র করে এলাকায় আলোচনার সৃষ্টি হয় এবং নিহত ব্যক্তির পরিবার তাঁকে হত্যার অন্যতম দায়ী ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন। খুনের মামলায় কাউছারকে ২ নম্বর আসামি করা হয়।
আবুল কালাম চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে চন্দ্রগঞ্জের মোস্তফার দোকান এলাকায় তাঁকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। অভিযুক্ত কাউছার হোসেন স্থানীয় ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয়। তবে তাঁর কোনো পদ নেই। এলাকায় বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তিনি একটি হত্যা মামলারও আসামি। এ ছাড়া ছাত্রদল কর্মী কাউছারের সঙ্গে এলাকায় প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধ ছিল আবুল কালামের।
জানতে চাইলে চন্দ্রগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়েজুল আজীম প্রথম আলোকে বলেন, খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রিমান্ডের আবেদন করে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হবে। কাউছারের পোস্টটি তদন্তের গুরুত্বপূর্ণ আলামত হিসেবে সংগ্রহ করা হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যেই এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের সব কারণ ও জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করা হবে।